আয়েশা সিদ্দিকা পিপিএম
প্রশ্ন ১: রাষ্ট্রদ্রোহিতা কি ও এর আইনানুগ প্রক্রিয়া কি?
উরর : মহাত্মা গান্ধী ১৯২২ সালে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায় স্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এই আদালতের কাছে আমার এটা লুকানোর কিছু নেই যে বিদ্যমান সরকার ব্যবস্থার প্রতি আমার বিরাগ প্রকাশ করাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’
‘অসত্য খবর’ প্রকাশকে দন্ডনীয় করে ইংল্যান্ডে ১২৭৫ সালে সেডিশাস লাইবেল বা রাষ্ট্রদ্রোহমূলক মানহানি আইন পাস হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র দুবার এই আইন করে আবার সেগুলো বাতিল করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অ্যাডামসের কর্তৃত্ববাদী ফেডারেলিস্ট সরকার ১৭৯৮ সালে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন করেছিল। তিনি ও তাঁর সরকার আজকের আমেরিকার দুই প্রধান দল ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান এবং সংবাদপত্রের সমালোচনায় ভীত ছিলেন। বাক স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণে কংগ্রেস কোনো আইন করতে পারবে না, এটা সংবিধানে লেখা ছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট অ্যাডামস তবু সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে ওই আইন পাস করেছিলেন এবং তাঁর সময় অন্তত ১০ জন সম্পাদক ও লেখক দন্তিত হয়েছিলেন। কেউ কেউ দেশান্তরিত হন। ১৯১৮ সালে দুই বছরের মেয়াদে শেষবারের মতো এ রকম আইন দেখেছেন মার্কিনরা। ব্রিটেনে এই আইনের আওতায় সবশেষ বিচার হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। ২০১০ সালে ব্রিটেন আইনটি বাতিলের অন্যতম মুখ্য কারণ হিসেবে যা উল্লেখ করেছিল, তা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য একটি শিক্ষণীয় হয়ে আছে। সেখানে বলা আছে, বিশ্বের বহু দেশ ব্রিটেনে এই আইন আছে সেই যুক্তি দেখিয়ে নিজের দেশে তা টিকিয়ে রাখে। কিন্তু আসলে তারা এই আইনটি রাজনৈতিক ভিন্নমত দমিয়ে রাখতে ব্যবহার করে থাকে।
গত বছরের নভেম্বরে গুজরাটের হার্দিক প্যাটেলকে যখন রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে অভিযুক্ত করা হলো, তখন তাকে ভিন্নমতের প্রতি সরকারের ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়া অসহিষ্ণুতার নজির হিসেবে দেখা হলো। রাষ্ট্রদ্রোহের আইনের আধুনিক ব্যবহারের নীতি হলো, কোনো সরকারের টিকে থাকার জন্য কোনো প্রকাশনা বা মন্তব্য যদি কোনো ‘স্পষ্ট এবং আসন্ন বিপদ’ সৃষ্টি করে, তাহলে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহ বলা যাবে। পুলিশের বড়কর্তা নিয়োগ সংক্রান্ত টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বানানোর চেষ্টা ২০১২ সালে কোয়াশ বা খারিজ করেছেন গুজরাটের হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ১২৪ক ধারায় যদি প্রমাণ না করা যায় যে, কোনো রিপোর্ট বা বক্তব্য সরকারের বিরুদ্ধে নৈরাজ্যকর হয়েছে, তাহলে তা রাষ্ট্রদ্রোহ বলে গণ্য হবে না। বিচারপতি হর্ষ দেবানি বলেছেন, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ‘সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতার’ উপাদান থাকতেই হবে।
রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়েরের অনুমোদন প্রদানের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এদিকটি বিবেচনায় নিতে হবে। এ বিষয়ে সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ, তার অনুমতি ছাড়া কোনো আদালত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আমলে নিতে পারবেন না। কারণ, আইন এটাও নিষিদ্ধ করে রেখেছে।
১৯৫১ সালে সংসদে একটি বিল এনে তিনি বলেছিলেন, ১২৪ক তে উল্লেখ করা ‘সিডিশন’ (আমাদের দন্ড বিধির ১২৪কটিও হুবহু এক)
কথাটি অত্যন্ত আপত্তিকর ও গর্হিত। আমি ১৯(২) অনুচ্ছেদে বাকস্বাধীনতার বিধানে ‘জনশৃঙ্খলা’ এনে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারণাকে বিস্তৃত করিনি।’
আমরা ১৯৭২ সালেই সংবিধানের ৩৯(২) অনুচ্ছেদে ভারতের ওই সংশোধিত ১৯(২) অনুচ্ছেদটিকে অবিকল গ্রহণ করেছিলাম। অবশ্য পরিহাস হলো যদিও নেহরু বলেছিলেন, সিডিশন আইনের কোনো ঠাঁই ভারতে হবে না। কিন্তু তিনি কথা রাখতে পারেননি। রাম নন্দন নামের বিহারের এক লোক ‘জাতিকে বিভক্ত’ করার জন্য নেহরুকে বিশ্বাসঘাতক বলেছিলেন। হুমকি দিয়েছিলেন দিনমজুরদের চরম দারিদ্র্য নিরসনে ব্যর্থ সরকারের উৎখাতে দরকার হলে তিনি আর্মি গঠন করবেন। তিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন। সুপ্রিম কোর্ট রাম নন্দনের দন্ড মওকুফ করলেন। সেই ১৯৫৮ সালেই উচ্চ আদালতের রায়ে বাকস্বাধীনতার জয় হয়েছিল।
রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়েরে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সরকারকে সতর্ক করে বলেছিলেন, সিডিশন আইনকে কিছুতেই ব্যাপকতা নয়, অত্যন্ত সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহার করতে হবে, নইলে তা সাংবিধানিক বৈধতার পরীক্ষায় পাস করতে পারবে না। বিধানটা দন্ডবিধির এমন একটি পরিচ্ছেদে রাখা, যেটির শিরোনাম ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ’। সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদ বলেছে, ‘রাষ্ট্র বলতে সংসদ, সরকার ও সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ অন্তর্ভুক্ত।’
প্রশ্ন ২: কারো উপর মিথ্যা মামলা হলে সে কি বিদেশ যেতে পারবে? যদি না পারে তাহলে সে ক্ষেত্রে করণীয় কি?
উওর : মিথ্যা মামলা দায়ের হলে বিদেশ যেতে পারবেন না জামিন না পাওয়া পর্যন্ত। দেওয়ানি মামলা হলে জবাব দাখিলের জন্য আদালত আসামির কাছে সমন পাঠাবেন। নির্ধারিত তারিখে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দাখিল করতে হবে। পরবর্তী সময়ে মামলা ধারাবাহিকভাবে চলবে। অনেক মামলায় দেখা যায়, আদালত পাসপোর্ট জব্দ করেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আদালতের অনুমতি নিয়ে পাসপোর্ট নিজের জিম্মায় এনে বিদেশ যেতে হবে। বিদেশ গেলেও আদালতে ধার্য তারিখে আইনজীবীর মাধ্যমে পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রশ্ন ৩: পাওনা টাকা উদ্ধারের
আইনগত পদ্ধতি কি?
উরর : চার ভাবে পাওনা টাকা উদ্ধার করা যায়:
১) উভয় পক্ষের মধ্যে মিমাংসার মাধ্যমেঃ পাওনাদার দেনাদারের মধ্যে আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে টাকা উদ্ধার করা সম্ভব। এক্ষেত্রে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগণের মধ্যস্থতায় এই আপোষ মিমাংসা হতে পারে।
২) ফৌজদারী আদালতে গচ্ছিত চেকের বিরুদ্ধে মামলা করেঃ এক্ষেত্রে চেকের ৬(ছয়) মাস মেয়াদ থাকাকালীন ঋণ দাতা বা পণ্য বিক্রেতা প্রদেয় চেকটি নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এ্যাক্ট ১৮৮১ অনুসারে টাকা উদ্ধার করতে পারে।
৩) দেওয়ানী আদালতে মানি স্যুট এর মাধ্যমেঃ নেগোশিয়োবল ইন্সস্ট্রুমেন্ট ব্যতীত ব্যবসায়ী লেনদেনের সময় ক্রেতার বা ঋণ গ্রহীতার স্বাক্ষরিত অন্যান্য কাগজপত্র (যেমন স্ট্যাম্প) দাখিলের মাধ্যমে দেওয়ানী আদালতে টাকা আদায়ের মামলা করা যেতে পারে।
৪) অর্থঋণ আদালতে ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে মামলা করেঃ অর্থঋণ আদালতে মামলা করার অধিকার একমাত্র ব্যাংক ও নন ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশনগুলোর। অর্থ ঋণ আইন মোতাবেক ঋণ গ্রহণের সময় জামানত হিসেবে গচ্ছিত স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়ের পর বিক্রীত টাকা সমন্বয শেষে বাকী টাকা নিয়ে মামলা করতে পারেন।
প্রশ্ন ৪: বেওয়ারিশ সম্পত্তি কাকে বলে? বেওয়ারিশ সম্পত্তি পেলে কি কি
ব্যবস্থা নিতে হবে?
উত্তরঃ যে সম্পত্তির কোন মালিক বা দাবীদার বা ওয়ারিশ খুঁজে পাওয়া যায় না তাকে বেওয়ারিশ সম্পত্তি বলে। (পুলিশ আইনের ২৫ ধারা এবং পিআরবি বিধি ২৫১, ৩৭৯)।
কোন পুলিশ অফিসার বেওয়ারিশ সম্পত্তি পেলে নিম্নে বর্ণিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেঃ-
১। ডিএমপি অধ্যাদেশের ২২ ধারা মতে পুলিশ বেওয়ারিশ সম্পত্তি নিজ হেফাজতে নিতে পারবে।
২। পুলিশ আইনের ২৫ ধারা মতে মালিকবিহীন কোন অস্থাবর সম্পত্তি পুলিশ পেলে উক্ত সম্পত্তির তালিকা প্রস্তুত করে নিকটতম ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করবেন এবং বিলি ব্যবস্থার আদেশের জন্য আবেদন করবেন।
৩। পুলিশ আইনের ২৬ ধারা মতে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট উক্ত সম্পত্তির বিবরণসহ এইরূপ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করবেন যে, উক্ত মালামালের কোন দাবীদার থাকলে তারা যেন বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখ হতে ছয় মাসের মধ্যে নিজ দাবী আদালতে প্রমাণ করেন।
৪। পুলিশ আইনের ২৭ ধারা মতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি কোন দাবীদার না আসে তাহলে এই ধারার (২) উপধারা মতে ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশের সম্পত্তি বিক্রয় করে বিক্রয়লব্ধ অর্থ ট্রেজারীতে জমা দিতে হবে।
৫। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫২৩ ধারা মতে বেওয়ারিশ সম্পত্তির তালিকা প্রাপ্তির পর যদি দাবীদার না থাকে তাহলে প্রাপ্ত সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণসহ এই মর্মে ঘোষণা প্রকাশ করবেন যে, উক্ত সম্পত্তিতে কারও কোন দাবী থাকলে ঘোষণার তারিখ হতে ছয় মাসের মধ্যে ম্যাজিষ্ট্রেটের সম্মুখে হাজির হয়ে উক্ত দাবী প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
৬। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫২৪ ধারা মতে ছয় মাসের মধ্যে দাবীদার হাজির না হলে বেওয়ারিশ মালামাল সরকারী হেফাজতে চলে যাবে এবং ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশক্রমে তা বিক্রয় করা যাবে।
৭। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫২৫ ধারা মতে পুলিশ হেফাজতে নেয়া বেওয়ারিশ মালামাল পচনশীল হলে ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশক্রমে তা বিক্রয় করা যাবে। (পিআরবি বিধি ২৫১ ও ৩৭৯।)
প্রশ্ন ৫ : সুপ্রিম কোর্টে মামলা
পরিচালনার পদ্ধতি কি?
উত্তরঃ কোনো বিচারপ্রার্থী জেলা জজ আদালতের রায়ে অসন্তুষ্ট হলে তিনি ন্যায় বিচারের আশায় উচ্চ আদালতে মামলা পরিচালনা করতে পারেন। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি আগাম জামিন, অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন, রিট মামলা এবং জনস্বার্থে যেকোনো বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করা যায়। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় সুপ্রিম কোর্টই হচ্ছে সর্বোচ্চ আদালত। উচ্চ আদালতে মামলা নিষ্পত্তির পরপর তা বাস্তবায়ন হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টের দুটি শাখা রয়েছে। একটি হাইকোর্ট বিভাগ এবং অপরটি আপিল বিভাগ। অনেক দেশে সুপ্রিম কোর্টের পরও ব্রিটেনের প্রিভি কাউন্সিলে আপীল করার সুযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এখন সেই ব্যবস্থা নেই। পাশের দেশ ভারতে একাধিক হাইকোর্ট
থাকলেও বাংলাদেশে হাইকোর্ট একটি। হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগ দুটো একই এলাকায় অবস্থিত।
যেসব বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়
সাধারণত জেলা জজ আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হলে তার পরে হাইকোর্ট বা উচ্চ আদালতে আপিল করা যায়। এ ছাড়া নিম্ন আদালতে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুদন্ডাদেশ হলে তা বাস্তবায়নে সরকার পক্ষ হাইকোর্টের অনুমোদনের জন্য আসতে পারে। আবার নিম্ন আদালতে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েও উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করা যায়। এ ছাড়া কিছু কিছু বিষয়ে হাইকোর্ট কোনো নির্দিষ্ট মামলার ব্যাপারে নিম্ন আদালতকে নির্দেশনা দেন, আবার অনেক ক্ষেত্রে মামলাটিকে উচ্চ আদালতে নিয়ে আসেন। কিছু কিছু মামলা আছে যেগুলোতে সরাসরি হাইকোর্টে যেতে হয়, যেমন : কোম্পানি সংক্রান্ত মামলা, খ্রিস্টান বিবাহ সংক্রান্ত মামলা, এডমিরালিটি বা সমুদ্রগামী জাহাজ সংক্রান্ত মামলা। হাইকোর্টের মোট ৩৩টি বেঞ্চ রয়েছে। তন্মধ্যে বেশির ভাগই দ্বৈত বেঞ্চ। কয়েকটি একক বেঞ্চও রয়েছে। এসব বিচারকক্ষে বিচার সম্পন্ন হয়।
রিট
কোনো নাগরিক জনস্বার্থ বা ব্যক্তিগত বিষয়ে বা সরকারি-বেসরকারি কোনো সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হলে সংবিধানের ১০২ ধারা অনুসারে তিনি রিট দায়ের করতে পারেন। রিটের বিষয়টি মামলার মতো হলেও দুটির মধ্যে মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। কেউ যদি মনে করে সরকারের প্রণীত কোনো আইন প্রচলিত অন্য আইনের পরিপন্থী বা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক, সে ক্ষেত্রেও আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করা যায়। অবশ্য কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে রিট এবং সাধারণ মামলা দুটিই করা চলে। রিটে খরচ কিছুটা বেশি হলেও সাধারণত দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।
আগাম জামিন
কোনো মামলায় জেলা জজ আদালত জামিন দিতে অস্বীকার করলে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বা উচ্চ আদালতে আবেদন করলে আদালত জামিনের নির্দেশ দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মামলাটি নিম্ন আদালতে চলতে থাকে, যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনে বেরিয়ে আসার সুযোগ পান। সাধারণত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আগাম জামিনের সুবিধা পান। যদি কেউ আশঙ্কা করেন যে তাঁর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা হতে পারে, তবে তিনি আগে থেকেই হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন। হাইকোর্ট গুরুত্ব বুঝে আগাম জামিনের নির্দেশ দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা গেলেও ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায় না।
অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন
কোনো ব্যক্তি যেকোনো মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করতে পারেন। নিম্ন আদালত জামিন না দিলে সে ক্ষেত্রে তিনি হাইকোর্টবে জামিন চাইতে পারেন। হাইকোর্ট জামিন আবেদন বাতিল করলে তিনি আপিল বিভাগে জামিন চাইতে পারেন। নিন্ম আদালত থেকে আপিল বিভাগ পর্যন্ত মামলার কয়েকটি স্তর। তবে আপিল বিভাগের রায় চূড়ান্ত।
(সংগৃহীত চলবে)
প্রতিবেদক : এআইজি ক্রাইম (ইষ্ট),
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা।
0 Comments