রবিউল মাশরাফী
বিজ্ঞানীদের অনেক কিছু হিতকর্মে সৃষ্ট
ব্যবহারের কু-অভ্যাসে হলো অপকৃষ্ট
পাল্টে গেছে সকল কিছু পাল্টে গেছে বিশ্ব
পাল্টে গেছে ঘরের মানুষ, শিক্ষক আরও শিষ্য
ইন্টারনেটে বদলে গেলো এই সমাজের রুপটা
দীর্ঘ হলো আলোর নীচের অন্ধকারের কুপটা।
কিশোর হাতে পড়লো যখন অত্যাধুনিক ফোনটা
নেট জগতের হাতছানিতে উঠলো নেচে মনটা
কখন কিযে করছে তারা কোনো খবর নেই না
তাদের প্রতি মাতা-পিতা তেমন সময় দেই না
নানা গেমের নেশায় পড়ে জাগে সারা রাত্রি
সহিংসতায় কেউবা হলো নষ্ট পথের যাত্রী।
বকের মতো নিরিখ বেঁধে গুঁজে থাকে ঘাড়টা
এসব দেখে বুক ফেটে যায় জ্বলে ওঠে হাড়টা
বাবা-মা-ও দিনে রাতে করছে নেটে মাস্তি
কে দেবে গো তাদের ধরে শ্রেণী মতো শাস্তি?
আগুন নিয়ে করছে খেলা সেই আগুনে পুড়ছে
তাও বোঝেনা তারা তাদের নিজের কবর খুঁড়ছে।
এই ছেলেরা নষ্ট হলে আসবে যাবে কার কি?
যার ছেলে সে কাঁদবে ভীষণ হায় হুতাশে আর কি।
অনলাইনে যুদ্ধ খেলা ফ্রী ফায়ার ও পাব-জি
সেসব খেলায় মাতছে আমার মাইজি এবং বাপজি
কচি মনে দিচ্ছে দোলা টিকটক এবং লাইকি
এসব কিছুর নির্মাতাদের লজ্জা শরম নাই কি?
ইউটিউবে খাচ্ছে সময় মন বসেনা পড়তে
সন্তানেরা হচ্ছে বিমুখ সোনার জীবন গড়তে।
কি নিদারুণ ঘুমের ক্ষতি স্নায়ুচাপও বাড়ছে
অনলাইনের তীব্র আলো চোখের জ্যোতি কাড়ছে
ব্লুহোয়েলের চরম চ্যালেঞ্জ আত্মাহুতির চেষ্টা
কেমন খেলা এসব তবে মৃত্যুই যার শেষটা?
কিশোর মনে দোলা দেবে একটু আধটু তাইনা?
কিন্তু আমরা নেটের ভিতর ওসব কিছু চাইনা।
বইয়ের থেকে যাচ্ছে সরে অবলম্বন নেটটা
বন্ধ হলো সত্যিকারের মানুষ হবার গেটটা
নেটের থেকে দাও সরিয়ে কুরুচি সব চিত্র
আমার ছেলে ভাঙবে আঁধার গড়বে আলোর মিত্র
রক্তে গড়া ছেলে-মেয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে
লাগাম টেনে ধরো তাদের, হাতে সময় থাকতে।
0 Comments