মোঃ কামরুল ইসলাম
বঙ্গবন্ধুর কিছু নিবন্ধ এবং উল্লেখযোগ্য বক্তৃতার একটি অমূল্য গ্রন্থ ‘আমার কিছু কথা’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালের ২১ শে বই মেলায়। প্রকাশক জনাব কাজী মোঃ শাহজাহান বইয়ের ভূমিকার শুরুতে লিখেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানলে বাঙালি জাতিকে জানা হয়ে যাবে’। কথাটি আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু, বাঙালি জাতির জন্য এই কথাটি কতোটা অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করি আমরা কতোটা জানি বঙ্গবন্ধুকে? কতোটা জানাতে পেরেছি নবীন প্রজন্মকে?
কবি সুকান্তের ভাষায়-
‘আমি ইতিহাস, আমার কথাটা একবার ভেবে দেখো,
মনে রেখো, দেরি হয়ে গেছে, অনেক অনেক দেরি।
আর মনে করো আকাশে আছে এক ধ্রুব নক্ষত্র,
নদীর ধারায় আছে গতির নির্দেশ,
অরণ্যের মর্মর ধ্বনিতে আছে আন্দোলনের ভাষা,
আর আছে পৃথিবীর চিরকালের আবর্তন’।
আমরা ভুলতে বসেছি ইতিহাসের অনেক অধ্যায়। আমাদের মুক্তি সংগ্রামকে সফল করার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থন ও সহায়তা ছিল অপরিসীম। এ দেশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় ভারতের সঙ্গে সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদান অন্যান্য সব বিদেশী রাষ্ট্রের চেয়ে অধিক। এ জন্যই কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ বঙ্গবন্ধু ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে সর্বপ্রথম মস্কো সফর করেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ খ্রি. মস্কোর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং পাঁচ দিনের সফর শেষে ০৬ মার্চ দেশে ফিরে ঢাকা বিমান বন্দরে উপস্থিত সাংবাদিক, সুধী সমাবেশে রাশিয়ার জনগণ ও সরকারের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও আতিথেয়তা এবং দেশ গঠনে এদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকারের ও প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পাদিত ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ’ নামক গ্রন্থে ওই ভাষণটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৭ই মার্চের ভাষণ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর অসংখ্য ভাষণ নিয়ে এ যাবৎ পত্র-পত্রিকায় অনেক আলোচনা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি গ্রন্থও রচিত হয়েছে। কিন্তু রাশিয়ায় সফরকালে মস্কোতে তাঁর সম্মানে দেয়া রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত অতি মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ সম্পর্কে কোথাও কোন আলোচনা বা মুদ্রণ আমার চোখে পড়েনি। এছাড়া ৩ মার্চ ১৯৭২ খ্রি. মস্কোতে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রগুলো ইউনিয়নের পক্ষে এ.এন কসিগিন ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন- যা আজ বিস্মৃতির অতল গহ্বরে হারিয়ে যেতে বসেছে। ওই ভাষণ ও চুক্তির কপি কেউ সংরক্ষণ করেছেন কি-না আমার জানা নেই। কিন্তু আমি বিগত ৪৮ বছর ধরে পরম মমতায় বুকের মধ্যে আগলে রেখেছি।
ভাষণের বিষয়বস্তু পর্যালোচনার আগে কীভাবে তা আমার কাছে এলো, সে তথ্য প্রকাশের লোভ সংবরণ করতে পারছি না। ১৯৭৩ সাল। শীতের সকাল। দিন-তারিখ স্মরণ নেই। আমি তখন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। গায়ে শাল জড়িয়ে বাড়ির পাশে বাজারে গেলাম মায়ের জন্য পান-সুপারি আনতে। দেখি ফুটপাতের বিক্রেতা একটি বিদেশি ম্যাগাজিনের পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে পুটলি বানিয়ে খুচরা সুপারি বিক্রি করে যাচ্ছেন। হঠাৎ আমার নজরে এলো ওই ম্যাগাজিনে বঙ্গবন্ধুর ছবি। দ্রুত হাতে নিলাম, দেখি বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ছবি। আমি তা নিতে চাইলে দোকানি বললেন চার আনা দিতে হবে। রাজি হয়ে গেলাম। কারণ পান-সুপারি কেনার পরও আমার কাছে আর আট আনা থাকবে। আট আনার পান-সুপারি নিয়ে দোকানিকে একটি এক টাকার নোট দিয়ে অপেক্ষায় আছি বাকি চার আনা ফেরৎ পাওয়ার জন্য। দোকানি জানতে চাইলেন আমি এই পুরাতন ম্যাগাজিন দিয়ে কি করবো। উত্তরে বললাম, এটাতে বঙ্গবন্ধুর ছবি আছে, আমি রেখে দেব। বুঝলাম, তিনি বেশ আনন্দ পেয়েছেন আমার কথায়। মুচকি হেসে আমার হাতে আট আনাই ফেরৎ দিয়ে বললেন, এর দাম দিতে হবে না। দ্রুত বাড়িতে এসে আবিষ্কার করলাম ম্যাগাজিনে রয়েছে সেই মূল্যবান ভাষণ, দ্বি-পাক্ষিক চুক্তিসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ। আরও আছে কিছু দুর্লভ ছবি। সেই থেকে এটি আমার কাছে। আমার জানামতে ছবিগুলো এ যাবৎ বাংলাদেশের কোনো পত্র-পত্রিকায় বা গ্রন্থে প্রকাশিত হয়নি।
আমরা জানি বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি ইতোমধ্যে বিশ^ প্রমাণ্য ঐতিহ্যে স্থান লাভ করেছে। কিন্তু মস্কোর ভোজসভার ভাষণটিও অতুলনীয়, অনন্য, মৌলিক ও বঙ্গবন্ধুর অপূর্ব সৃষ্টি। কি নেই এই ভাষণে? আছে দেশ ও দেশবাসীর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে দৃঢ় প্রত্যয়, উন্নয়ন, ধর্মীয় গোঁড়ামীর কুফল, দেশমাতৃকার জন্য আত্মত্যাগকারী বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন ও সহায়তাকারী বহির্বিশ্বের দেশ ও জাতির প্রতি কৃতজ্ঞতা, বাঙালি জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দৃঢ় অঙ্গিকার, সংঘর্ষ-সংকুল সমকালীন বিশ্বের বিপন্ন মানবতার আর্তনাদে উদ্বিগ্নতা ও হৃদয়ের রক্তক্ষরণ, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিজেকে সমর্পণের গর্ব ও তৃপ্ততা, বিপর্যস্ত জনগোষ্ঠির প্রতি সমবেদনা ও সহায়তার দৃঢ় প্রত্যয়, দুর্বলের প্রতি আগ্রাসী কর্মকা- অবসানের আহ্বান, দারিদ্র্যতা, ব্যাধি ও অজ্ঞতার বিরুদ্ধে আপোশহীন সংগ্রামের প্রত্যয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিজ্ঞান ও আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ গঠনের আকুতি, দেশ গঠনে বহির্বিশে^র ধনী রাষ্ট্রের প্রতি সহায়তার আহ্বান- ইত্যাদি বহুমাত্রিক ছন্দে সমৃদ্ধ- এ যেন এক মহাকাব্য।
সীমাবদ্ধতার কারণে সম্পূর্ণ ভাষণটি এখানে উপস্থাপন করা সম্ভব হলো না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সরকার আজ দেশ ও জাতিকে নিয়ে যাচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়নের শিকড় থেকে শিখরে। তারই সুস্পষ্ট ভবিষ্যৎ বাণী রয়েছে ভাষণের অংশে। কেবল অংশটুকুই আজ সম্মানিত পাঠক সমীপে নিবেদন করা হলো-
‘বিপুল ত্যাগের মাধ্যমে আমরা আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করেছি। দারিদ্র্যতা, ক্ষুধা, ব্যাধির বিরুদ্ধে সংগ্রামে আমাদেরকে জয়যুক্ত হতে হবে। আমরা এই ব্যাপারে স্থির বিশ্বাসী যে, আমরা যে অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করেছি, তা আমাদের অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়নই ঘটাবে না, এর সুফলের ন্যায্য বণ্টনের নিশ্চয়তাও বিধান করবে’।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর সম্পর্কে দেশ-বিদেশের তৎকালীন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ/সম্পাদকীয় মন্তব্যের অংশবিশেষ নিম্নরূপ-
‘জাতীয় স্বাধীনতা ও মুক্তির লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্যে বাংলাদেশের যে মানুষকে রক্ত স্নান করতে হয়েছিল, সেই রক্ত স্নাত বাঙালি জাতির জনক ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মস্কো পৌঁছেই জাতীয় মুক্তির নবীন চেতনায় উদ্বুদ্ধ ও রূপান্তরিত বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়নের মহান জনগণ তথা সারা বিশ্বের শান্তিকামী ও জাতির মুক্তি সংগ্রামের সমর্থক জনগণের উদ্দেশে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার মর্মার্থ এই ছিল যে, সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা, জোট নিরপেক্ষতা বজায় রাখা ও বিশ্বের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে বাংলাদেশ নিস্ক্রিয় নেতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করবে না। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ও সক্রিয় শান্তিবাদী ভূমিকা গ্রহণ করবে। বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষের আত্মপ্রত্যয়শীল নায়কের যোগ্য উক্তিই সেদিন তিনি মস্কোতে করেছিলেন’।
পূর্বদেশ, ০৬ মার্চ ১৯৭২
‘বঙ্গবন্ধুর এই সফর বাংলাদেশ ও সোভিয়েতের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধির দ্বারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংহত ও শক্তিশালী করার সাথে সাথে বিশে^র এই অংশে শান্তি, জাতীয় মুক্তি ও গণতন্ত্রের শক্তিকে জোরদার করবে’।
সংবাদ, ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২।
‘বিশে^র তরুণতম একটি দেশের আহত-অস্তিত্বকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দানের ক্ষেত্রে একটি বৃহৎ বন্ধুদেশ, যা করতে পারে, প্রায় সব রকম সহায়তার কথাই ঐ যুক্ত ঘোষণার অন্তর্গত। বহু বছরের আন্তর্জাতিক নথিপত্র ঘেঁটেও এ রকম বাস্তবসম্মত, স্পষ্ট ও অন্তরঙ্গ যুক্ত ইশতেহারের উদাহরণ ঠিক আর কয়টি পাওয়া যাবে, বলা দুস্কর।’
গণকণ্ঠ, ০৬ মার্চ ১৯৭২
‘বলা বাহুল্য, বঙ্গবন্ধু খালি হাতে ফেরেননি- তিনি দুই হাত ভরে নিয়ে এসেছেন মহান সোভিয়েত জনগণ এবং সরকারের অনাবিল সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মুঠো মুঠো সোনা। বঙ্গবন্ধুর সফর সফল হয়েছে। এ সফর বাংলাদেশ-সোভিয়েত মৈত্রীর বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করেছে। যতই দিন যাবে, এ বন্ধুত্বের ভিত্তি ততই মজবুত হবে, এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়’।
বাংলার বাণী, ০৭ মার্চ ১৯৭২
‘মুজিবুর রহমানের সোভিয়েত সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, এর ফলে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং নতুন বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রটির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও অধিক সুদৃঢ় হবে’।
হিমালি বেলা, নেপাল, ০৬ মার্চ ১৯৭২।
‘শেখ মুজিবুর রহমানের সোভিয়েত ইউনিয়ন সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যে মৈত্রী ও সহযোগিতার সম্পর্ক অধিকতর বিকাশ লাভ করছে এবং বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ়তর হল’।
দৈনিক রেঙ্গুন, বার্মা, ০৭ মার্চ ১৯৭২।
‘ক্রেমলিনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের আলোচনা শেষে প্রকাশিত যুক্ত ঘোষণাটি আমাদের দেশে এবং একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলেও গভীর আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। আমাদের আগ্রহের কারণ হচ্ছে, এর মধ্যে আমাদের জাতীয় স্বার্থ, আর আমাদের জনগণের সংগ্রাম ও আশা-আকাঙ্ক্ষার সুস্পষ্ট প্রতিফলন রয়েছে। সোভিয়েত সরকার ও জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের আর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুভূতির ঐক্যও এই যুক্ত ঘোষণায় উচ্চকিত। শান্তিবাদী আদর্শের উজ্জীবন, জোটনিরপেক্ষ নীতির সারবত্তা এবং ক্ষুদ্র দেশগুলোর নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে ঘোষণায় উচ্চারিত লক্ষ্যগুলো নিঃসন্দেহে আজকের আন্তর্জাতিক রাজনীতির গতিধারার উপর সুগভীর প্রভাব বিস্তার করবে। এদিক থেকে একে একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সঙ্গত কারণেই আমরা নিশ্চিত করতে পারি’।
গণবাংলা, ০৬ মার্চ ১৯৭২।
‘বস্তুত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির যে বুনিয়াদ আজ নবীন রাষ্ট্র বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করিবার প্রচেষ্টা চলিতেছে, সে ক্ষেত্রে সোভিয়েত ইউনিয়নের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য একান্ত জরুরী হইয়াই থাকিবে। পক্ষান্তরে, ইতিহাসের আলোকে সোভিয়েত ইউনিয়ন আজ যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে স্বীকৃতি জানাইয়া চলিয়াছে সেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বাংলাদেশের জন্যও অপরিহার্য বলিয়া প্রমাণিত হইয়াছে। সুতরাং আদর্শের এই পটভূমিকায় সোভিয়েত-বাংলাদেশ যুক্ত ইশতেহারে ঐক্যের সুর ধ্বনিত হইয়াছে স্বাভাবিকভাবেই। উভয় দেশের সংগ্রামী ঐতিহ্যও এ ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা পালন করিয়া চলিয়াছে’।
ইত্তেফাক, ০৭ মার্চ ১৯৭২।
লেখক: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ট্যুরিস্ট পুলিশ, সিলেট রিজিয়ন।
0 Comments