শামস্ নূর
নারী পরিচালিত পুলিশ স্টেশন
পাকিস্তানের আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে প্রথমবারের মতো নারী পরিচালিত একটি পুলিশ স্টেশন চালু হয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর স্টেশনটি উদ্বোধন করা হয়েছে।
পুলিশ স্টেশনটি উদ্বোধন করার পর পাকিস্তান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) সোহেইল হাবিব তাজিক বলেন, প্রাথমিকভাবে ১১ সদস্যের একটি দল এটি পরিচালনা করবে। স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) হিসেবে এই দলের নেতৃত্বে থাকবেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদা হানিফ।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে লিঙ্গ বৈষম্য উদ্বেগের বিষয়। বৈশ্বিক মাপকাঠিতে লিঙ্গসমতার দিক থেকে পাকিস্তানের অবস্থান ১৫৩। মাত্র তিনটি দেশ পাকিস্তানের পেছনে রয়েছে। এদিক থেকে নারী পরিচালিত পুলিশ স্টেশনের মতো দৃষ্টান্ত লিঙ্গ বৈষম্য কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্য ডন
৩৫ বছর পর ফ্রান্সে মিলল সিরিয়াল খুনির পরিচয়
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ফ্রান্সে এক ভয়ংকর সিরিয়াল কিলারের পরিচয় মিলেছে। দেশটির সামরিক বাহিনীর সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তাই ছিলেন সেই ভয়ংকর খুনি। ফ্রাঙ্কোইস ভেরোভে নামে ওই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার ডিএনএ নমুনার সঙ্গে কয়েকটি খুনের ঘটনাস্থলে পাওয়া ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া গেছে। তবে গত ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে স্বীকার করেছেন তিনি ছিলেন ‘লা গ্রেলে’ নামে পরিচিতি পাওয়া কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার। বিগত কয়েক দশক ধরে খুঁজে ফিরেছে প্যারিসের ক্রাইম স্কোয়াড।
লা গ্রেলের খুন আর ধর্ষণে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তটস্থ’ থেকেছে প্যারিসের বাসিন্দারা। তবে এসব অপরাধের কোনো কিনারা পাওয়া যায়নি। লা গ্রেলের সবচেয়ে ভয়ংকর খুন ছিল ১১ বছরের সেসিলি ব্লোচ। ১৯৮৬ সালে স্কুলে যেতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মেয়েটি।
বিপজ্জনকহারে এজেন্ট হারানোর স্বীকারোক্তি সিআইএ’র
বিশ্বে আধিপত্য বজায় রাখার লক্ষ্যে গত দুই দশক ধরে সিআইএ সন্ত্রাসবাদী হুমকি চীন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ার সঙ্ঘাতের দিকে বেশিরভাগ মনোযোগ দিয়েছে। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব দেশও সিআইএ’র গতিবিধি নজরদারির জন্য বায়োমেট্রিক স্ক্যান, ফেসিয়াল রেকগনিশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং হ্যাকিং সরঞ্জামের মতো উদ্ভাবন কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। ফলে ক্রমেই এজেন্ট হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
সিআইএ’র কর্মকর্তারা বিশ্বব্যাপী তাদের সমস্ত স্টেশন এবং ঘাঁটিগুলোকে পাঠানো এক গোপন বার্তায় স্বীকার করেছে যে, বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য নিয়োজিতদের সংখ্যা বিপজ্জনক হারে কমছে। বার্তাটিতে তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, বিভিন্ন দেশ থেকে গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তির জন্য যাদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের বহুজনকে বন্দি বা হত্যা, গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অনেককেই আপোষ করতে হয়েছে। ফলে এসব অঞ্চলে নতুন করে এজেন্ট নিয়োগ ও কাজ চালিয়ে পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে সংস্থাটির জন্য।
সিআইএ’র বার্তাটিতে বলা হয় যে, সংস্থাটি তার প্রতিপক্ষদের অবমূল্যায়ন করেছে এই বিশ্বাসে যে, তাদের কর্মকর্তাগণ এবং কর্মপদ্ধতি অন্যান্য গোয়েন্দা পরিষেবার চেয়ে ভালো। কিন্তু গবেষণার ফলাফল দেখিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেটে থাকা দেশগুলোও গোয়েন্দা পরিষেবায় দক্ষ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া, চীন, ইরান এবং পাকিস্তানের মতো দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র এজেন্টদের খুঁজে বের করেছে এবং তাদের বন্দি বা হত্যা ছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে ডবল এজেন্টে পরিণত করেছে, যারা উল্টো তথ্য গোপন ও ভুল প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।
কিছু প্রাক্তন মার্কিন কর্মকর্তা বিশ্বাস করেন যে, কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদী হুমকির উপর নজর দেওয়ার এবং ঝুঁকিপূর্ণ গোপন যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে চলাতে বিরোধী গোয়েন্দা পরিষেবাগুলোকে ব্যর্থ করে দেয়ার ক্ষেত্রে সংস্থাটির দক্ষতায় মরিচা পড়ে গেছে। বিদেশী সরকারের উপর গুপ্তচরবৃত্তির তথ্য প্রদান, প্রশিক্ষণ, নির্দেশনা এবং কর্মপন্থা সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের ভেতরে তথ্যদাতা তৈরির থেকে ভিন্ন। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতা এর অন্যতম উদাহরণ।
সিআইএ’র প্রাক্তন কর্মকর্তা ডগলাস লন্ডন বলেছেন, ‘কখনও কখনও কিছু জিনিস আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে, কিন্তু সেখানেও অসতর্কতা ও অবহেলার ঘটনা ঘটে এবং সিনিয়র পদে থাকা ব্যক্তিদের কখনোই দায়ী করা হয় না।’ তিনি বলেন, ‘এটা স্বীকার করাটা সদিচ্ছা যে, আমরা ততটা নিখুঁত নই যতটা আমরা মনে করি। এটা একটা ইতিবাচক বিষয়।’
প্রথম মহিলা জেমস বন্ড!
লাসানা রশিদা লিঞ্চ। ব্রিটিশদের কাছে এই নাম পরিচিত। কিন্তু ব্রিটেনের বাইরে তেমন পরিচিত নয়। খুব অল্প মানুষই তাই লাসানাকে চেনেন। তবে খুব তাড়াতাড়ি লাসানা সিনেমার দর্শকদের মনে জায়গা করে নিতে চলেছেন। কিন্তু না, এই নামে নয়। তিনি ‘জেমস বন্ড’ নামে পর্দায় আসছেন।
সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এবার নাকি লাসানাকেই দেখা যাবে জেমস বন্ড-এর ভূমিকায়। কঠিন সমস্ত স্টান্ট করে দর্শকদের মন ভরিয়ে তুলবেন তিনিই। জেমস বন্ড সিরিজ-এ লাসানাকে দেখা যাবে আগেই। গত সেপ্টেম্বর মাসেই মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজ-এর ‘নো টাইম টু ডাই’। তাতে ৩৩ বছরের লাসানাকে এমআই ৬ এজেন্টের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে।
তিনি নোমির চরিত্রে অভিনয় করছেন। শোনা যাচ্ছে, জেমস বন্ড-এর উত্তরসূরি হতে চলেছেন তিনিই। এই প্রথম পর্দায় কোনও মহিলা ‘জেমস বন্ড’-কে দেখা যাবে। জেমস বন্ড সিরিজ-এর ‘নো টাইম টু ডাই’-এ নাকি শেষ বারের মতো জেমস-এর ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে ড্যানিয়েল ক্রেগকে।
প্রথমবার মহিলা বন্ড হিসাবে অভিষেক কবে হবে তার? সেই দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। ড্যানিয়েলের যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে উঠে লাসানা একই জনপ্রিয়তা নিয়ে জেমস বন্ড সিরিজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন কি না বা তাকে দর্শক কী ভাবে গ্রহণ করবে তা সময়ই বলবে। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।
জেমস বন্ডকে বিদায় জানালেন ড্যানিয়েল
জনপ্রিয় অভিনেতা ড্যানিয়েল ক্রেগ। ‘জেমস বন্ড’ সিরিজের পাঁচটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘নো টাইম টু ডাই’ সিনেমার পর আর এই চরিত্রে দেখা যাবে না তাকে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নো টাইম টু ডাই’ সিনেমার শুটিং সেটের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। জানা গেছে, সিনেমার শুটিংয়ের শেষ দিনে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। এতে সেটে সবার উদ্দেশে ড্যানিয়েল ক্রেগকে আবেগঘন বক্তৃতা দিতে দেখা গেছে। এই অভিনেতা বলেন, ‘এই পাঁচটি সিনেমায় আমার সঙ্গে অনেকেই কাজ করেছেন। আমি জানি, এই সিনেমাগুলো নিয়ে আমার চিন্তাভাবনা সম্পর্কে অনেক কিছুই আলোচনা হয়েছে। যাহোক, আমি এ সিনেমাগুলোর প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি, বিশেষ করে এই সিনেমাটি। কারণ প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে আপনাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। এটি আমার পাওয়া জীবনের অন্যতম সম্মান।’
লেখক : অনুবাদক।
0 Comments