ই-পেপার

একেএম আলীনূর হোসেন, পিপিএম

তদন্ত হচ্ছে একটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। তদন্তের প্রকৃত কারণ হচ্ছে সত্যকে উদ্ঘাটন করা। প্রবাদ আছে, “ÒInvestigation is nothing but to find out the truth”.পুলিশি তদন্ত হচ্ছে সত্যকে উদ্ঘাটন করে আইন অনুসারে সাজার ধারায় (দ-বিধি/অন্যান্য) ফেলে বিজ্ঞ আদালতে বিচারের নিমিত্তে প্রতিবেদন দাখিল করা। অপরদিকে আইন হচ্ছে, বাংলাদেশ সংবিধানের ১৫২(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, “আইন অর্থ কোন আইন, অধ্যাদেশ, আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্য আইনগত দলিল এবং বাংলাদেশে আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন  যেকোন প্রথা বা রীতি”। ফৌজদারি কার্যবিধি-১৭৩ ধারা মোতাবেক পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করা হয়। অভিযুক্ত করার সুপারিশ সম্বলিত পুলিশ রিপোর্টকে বলা হয় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আর অভিযুক্তকে অব্যহতি দেওয়ার সুপারিশ সম্বলিত রিপোর্টকে বলা হয় চূড়ান্ত রিপোর্ট (ফাইনাল রিপোর্ট)। অভিযোগপত্র ও চূড়ান্ত রিপোর্ট উভয়ই কাঃ বিঃ-১৭৩ ধারার পুলিশ রিপোর্ট বলে গণ্য। পিআরবি-২৭২, একমাত্র পুলিশ রেগুলেশনস অব বেঙ্গল (পিআরবি)’তে চার্জশীট ও ফাইনাল রিপোর্টের কথা উল্লেখ আছে যা ফৌজদারি কার্যবিধিতে উল্লেখ নেই। পিআরবি-২৭৫(ক) মোতাবেক ফাইনাল রিপোর্ট ০৫(পাঁচ) প্রকার।

(১)          চূড়ান্ত রিপোর্ট-সত্য (Final Report, Truth)।

(২)         চূড়ান্ত রিপোর্ট-মিথ্যা (Final Report, False)।

(৩)         চূড়ান্ত রিপোর্ট-তথ্যগত ভুল (Final Report, Mistake of fact)।

(৪)         চূড়ান্ত রিপোর্ট-অধর্তব্য (Final Report, Non-cog)।

(৫)         চূড়ান্ত রিপোর্ট-আইনের ভুল (Final Report, Mistake of Law)।

আজকে অবশ্যই চার্জশিট সংক্রান্তে আলোচনা করব। থানার অফিসার ইনচার্জ এর কাছে আমলযোগ্য কোনো অপরাধের সংবাদ আসলে বা অভিযোগ আসলে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৫৪ ধারা মোতাবেক সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরম (২৭ নং বিপি ফরম) পূরণ করে তিনি নিজে অথবা অধঃস্তনকে তদন্তের দায়িত্ব দিবেন।

আমলযোগ্য অপরাধ (Cognizable offence) ঃ ফৌজদারী কার্যবিধি ৪(১)(ঢ) মোতাবেক, “আমলযোগ্য অপরাধ বলতে যে সব অপরাধ বুঝাবে যে সব অপরাধের ক্ষেত্রে ফৌঃ কাঃ বিঃ দ্বিতীয় তফসিলের তৃতীয় কলাম অনুযায়ী অথবা দন্ডবিধি ব্যতীত প্রচলিত অন্য কোনো আইনে আমলযোগ্য বা অ-আমলযোগ্য উল্লেখ না থাকলে ফৌজদারি কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিলের সর্ব নিম্নাংশে, “অন্যান্য আইনে সংঘটিত অপরাধ” অনুসারে অপরাধের শাস্তির পরিমাণ দুই বৎসর বা তদুর্ধ্ব হলে অপরাধটি আমলযোগ্য হবে। আমলযোগ্য অপরাধ হতে উদ্ভূত মামলা আমলযোগ্য মামলা হিসেবে গণ্য।

তদন্তকারী অফিসার এজাহার (এফআইআর) এর কপি প্রাপ্ত হয়ে পর্যালোচনা করে ভিসিএনবি (ভিলেজ ক্রাইম নোট বুক) পর্যালোচনা করে অনতিবিলম্বে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পিবিআরবি-২৭৩ বিধি মোতাবেক কতিপয় মামলার ম্যাপ বা নকশা তৈরি করবেন। কিন্তু ম্যাপ বা নকশার কথা ফৌজদারী কার্যবিধিতে কোথাও উল্লেখ নেই।  তবে তদন্তের কার্যক্রম অবশ্যই কার্যবিধি-১৫৬ ধারা মোতাবেক করতে হবে।  ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঃ বিঃ-১৬১ ধারা মোতাবেক সাক্ষীদের জবানবন্দি পরীক্ষা করবেন (Examination of witnesses)। কাঃ বিঃ ১৭০(২) ধারা মোতাবেক জবানবন্দি পরীক্ষা করতঃ মুচলেকা গ্রহণ করবেন এবং ১৭০(৫) ধারা মোতাবেক মুচলেকাটি অবশ্যই কেস ডকেটের সঙ্গে বিজ্ঞ আদালতে পাঠাবেন। ঘটনাস্থলে কোনো আলামত পেলে দুই বা ততোধিক সাক্ষীর উপস্থিতিতে জব্দ করবেন। জব্দকৃত আলামত প্রকৃতিভেদে প্রয়োজনে পরীক্ষাগারে পাঠাবেন। ঘটনা সংক্রান্তে সোর্স নিয়োগ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের অবশ্যই গ্রেফতার করবেন কাঃবিঃ ৪৬(১) ধারা মোতাবেক এবং গ্রেফতার এড়াইতে চাইলে কাঃ বিঃ ৪৬(২) ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে কাঃ বিঃ ৫১ ধারা মোতাবেক এবং মহিলা হলে কাঃ বিঃ ৫২ ধারা মোতাবেক দেহ তল্লাশি করবেন। ঘটনায় জড়িত না থাকলে তাকে কোনোক্রমে গ্রেফতার করা যাবে না। গ্রেফতারকৃত আসামিকে কাঃ বিঃ-৬০ ধারা মোতাবেক অবশ্যই অফিসার ইনচার্জের কাছে উপস্থিত করতে হবে। গ্রেফতারকৃত আসামি উপযুক্ত প্রহড়ায় থানায় এনে পিআরবি-৩৭৭ মোতাবেক এবং পুলিশ আইনের-৪৪ মোতাবেক ডাইরি করতঃ কাঃ বিঃ -১৬৮ ধারা মোতাবেক অফিাসার ইনচার্জকে ফলাফল অবহিত করবেন। সব কার্যক্রম পিআরবি-২৬৪ এবং কাঃ বিঃ-১৭২ মোতাবেক কেস ডায়েরীতে (সিডি) নোট দিতে হবে ও কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

জিজ্ঞাসাঃ

০১। পুলিশ অফিসার কী অনুসন্ধান করতে পারেন?

উত্তরঃ না। কেননা ফৌঃ কাঃ বিঃ ৪(১)(ট) তে উল্লেখ আছে, ‘অনুসন্ধান(Inquiry)- অর্থ এই আইন অনুসারে কোন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা আদালত কর্তৃক পরিচালিত বিচার ব্যতীত সমস্ত ইনকোয়ারী’। যা ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত কর্তৃক পরিচালিক কার্যক্রম।

০২। ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত কী তদন্ত করতে পারেন?

উত্তরঃ না। কেননা ফৌঃ কাঃ বিঃ-৪(১)(ঠ)-তে উল্লেখ আছে, ‘তদন্ত (Investigation) বলতে সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে কোনো পুলিশ অফিসার অথবা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হতে এতদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অপর কোন ব্যক্তি (ম্যাজিস্ট্রেট নহেন) কর্তৃক এই কোডের অধীনে পরিচালিত সব কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করে”। যাহা ম্যাজিস্ট্রেট এবং আদালতের পরিচালিত কার্যক্রম ব্যতীত।

(৩) কে পুলিশ রিপোর্ট (চার্জশীট/ফাইনাল) দাখিল করতে পারেন?

উত্তরঃ ফৌজদারি কার্যবিধির-১৭৩(১) এবং পিআরবি-২৫৫ মোতাবেক অফিসার ইনচার্জ শুধু পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করতে পারে।

(৪) জিআর মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা বাদীকে ফলাফল জানাতে কি বাধ্য?

উত্তরঃ হ্যাঁ। ফৌজদারী কার্যবিধির-১৭৩(১)(খ) এবং পিআরবি-২৭৮ মোতাবেক বাদীকে জিআর মামলার ফলাফল জানাতে বাধ্য।

(৫) আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটনের পর কিংবা অভিযোগপ্রাপ্তির পর থানার অফিসার ইনচার্জ কি মামলা রুজু করতে বাধ্য?

উত্তরঃ হ্যাঁ। ফৌঃ কাঃ বিঃ-১৫৪ ধারা এবং পিআরবি-২৪৩ ও ২৪৪ মোতাবেক মামলা রুজু করতে বাধ্য। এমনকি বাদীর অভিযোগে ডাহা মিথ্যা কথা থাকলেও।

(৬)  অফিসার ইনচার্জ আমলযোগ্য অপরাধের সন্দেহের ক্ষেত্রে কী প্রাথমিক তদন্ত করতে পারে।

উত্তরঃ না। ফৌঃ কাঃ বিঃ-১৫৭ ধারা এবং পিআরবি-২৫৭ মোতাবেক নিয়মিত মামলা রুজু করেই তদন্ত করতে হবে। কেননা কাঃ বিঃ-১৫৮ ধারায় উল্লেখ আছে “কাঃ বিঃ-১৫৭ ধারার রিপোর্ট কাঃ বিঃ-১৫৮ ধারা মোতাবেক ঊর্ধ্বতনের মাধ্যমে দাখিল করতে হবে (পিআরবি-২৭৫)”।

(৭) পুলিশ অফিসার বৈধভাবে কাঃ বিঃ-১৬০ ধারা মোতাবেক কাউকে নোটিশ করলে সে আসতে বাধ্য কিনাঃ

উত্তরঃ হ্যাঁ। হাজির হতে ব্যর্থ হলে পেনাল কোডের-১৭৪ ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য।

(৮) পুলিশ অফিসারের কাছে দেওয়া বিবৃতিতে (তদন্তের ক্ষেত্রে) কাঃ বিঃ ১৬১ ধারার জবানবন্দিতে স্বাক্ষর নেওয়া যাবে কিনা?

উত্তরঃ না। কাঃ বিঃ-১৬২ ধারাতে বারণ করা আছে।

(৯) পুলিশ কি স্বাভাবিকভাবে বিনা-পরোয়ানায় তল্লাশি করতে পারে?

উত্তরঃ না। তবে কাঃ বিঃ ১৬৫(১) ধারা মোতাবেক অহেতুক বিলম্ব ব্যতীত অন্য কোনোভাবে ওই জিনিস সংগ্রহ করা যাইবে না, তখন ওইরকম বিশ্বাসের কারণ লিখিতভাবে নথিভুক্ত করে তল্লাশি করতে পারবেন। কাঃ বিঃ ১৬৬(৩) ধারা মোতাবেক যখন সাক্ষ্য গোপন করা বা ধ্বংস করা হতে পারে, তখন।

(১০) মামলার তদন্ত পর্যায়ে কী কোর্ট কোন হস্তক্ষেপ করতে পারে?

উত্তরঃ না। ‘তদন্ত বিষয়ে পুলিশ তদন্ত সম্পন্ন করতে ব্যাপক ক্ষমতা ভোগ করেন এবং তদন্ত পর্যায়ে হাইকোর্ট বিভাগ হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।’ মামলা আমলে না নেওয়া পর্যন্ত অভিযোগপত্র দাখিল করা তদন্তের চূড়ান্ত পর্যায় বলে বিবেচিত হবে না {31 DLR 69 (AD)}

(১১) আসামী বা তার প্রতিনিধি কী কেস ডায়েরী দেখতে পারে?

উত্তরঃ না। কাঃ বিঃ ১৭২(২) ধারা মোতাবেক আসামি বা তার প্রতিনিধি চেয়ে পাঠাবার কিংবা দেখবার অধিকারী হবেন না। ১৮৭২ সালে সাক্ষ্য আইনের-১৬১ বা ১৪৫ ধারা প্রযোজ্য হবে।

(১২) ফৌজদারি কার্যবিধি-১৬৪ ধারার জবানবন্দি কী তদন্তকালীন প্রকাশ করা যাবে?

উত্তরঃ না। কাঃ বিঃ-১৭৩ ধারায় পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করার আগে বা মামলা আমলে না নেওয়া পর্যন্ত ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দির অনুলিপি পাওয়ার অধিকারী নয়। এইরূপ অধিকার দেয়া হলে তা তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। {20 BLD 422(HCD)}

কাঃ বিঃ-৫৪৮ ধারা মোতাবেক অভিযোগপত্র দাখিল করার আগে কাঃ বিঃ-১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধকৃত জবানবন্দির অনুলিপি সরবরাহ করা যাবে না- ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক কাঃ বিঃ-১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধকৃত অভিযুক্তের জবানবন্দি ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ৭৪ ধারার মর্মীনুযায়ী একটি সরকারি দলিল। {5MLR 334(HC)}

(১৩) অভিযোগ এবং এজাহার (FIR) কী?

উত্তরঃ অভিযোগ হচ্ছে, কোন বাদী বা সংবাদদাতা যাহা অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত বা মৌখিকভাবে দাখিল করেন। অপরদিকে এজাহার হচ্ছে অফিসার ইনচার্জ যখন অভিযোগটি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত (বিপি ফরম-২৭) ফরম পূরণ করে অফিসার ইনচার্জ স্বাক্ষর করেন তখন তা এজাহার (FIR) হিসেবে গণ্য হয়।

অ-আমলযোগ্য অপরাধ হচ্ছে- সেই সব অপরাধ, যে সব ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার পরোয়ানা ব্যতীত গ্রেফতার করিতে পারেন না।

অ-আমলযোগ্য অপরাধ হচ্ছে “ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৪(১)(ণ) ধারা মোতাবেক “অ-আমলযোগ্য অপরাধ বলতে যে সকল অপরাধ বুঝাবে যে সব অপরাধের ক্ষেত্রে ফৌঃ কাঃ বিঃ দ্বিতীয় তফসিলের তৃতীয় কলাম অনুযায়ী অথবা দন্ডবিধি ব্যতীত প্রচলিত অন্য কোনো আইনে আমলযোগ্য বা অ-আমলযোগ্য উল্লেখ না থাকলে ফৌজদারি কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিলের সর্ব নিম্নাংশে, “অন্যান্য আইনে সংঘটিত অপরাধ” অনুসারে অপরাধের শাস্তির পরিমাণ দুই বছরের কম হলে অপরাধটি অ-আমলযোগ্য হবে। অ-আমলযোগ্য অপরাধ হতে উদ্ভুত মামলা নন-জিআর মামলা হিসেবে গণ্য।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা কাঃ বিঃ ১৫৫(২) ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত ওই অপরাধের তদন্ত করতে পারেন না কিংবা তিনি ১৬৫ ধারায় তল্লাশি করতে পারেন না। (24 CAL691:37DLR 223)..

কার্যবিধি ১৫৫(১) মোতাবেক এবং পিআরবি ২৫৪ মোতাবেক কোনো থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে ওই থানা সীমানার মধ্যে কোনো আমল অযোগ্য মামলার অপরাধ সংঘটনের সংবাদ দেওয়া হলে তিনি সংবাদের সারর্মম উপর্যুক্তভাবে রক্ষিত (থানার জিডি বহি) লিপিবদ্ধ করবেন এবং সংবাদদাতাকে ম্যাজিস্ট্রেটের পাঠাবেন।

১৫৫(২) মোতাবেক অনুরূপ ঘটনার বিচারের জন্য পাঠানোর ক্ষমতাসম্পন্ন কোন প্রথম শ্রেণীর বা দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত পুলিশ অফিসার আমলের অযোগ্য মামলা সম্পর্কে তদন্ত করবেন না।

১৫৫(৩) মোতাবেক এইরূপ আদেশপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার তদন্তের ব্যাপারে আমলযোগ্য ঘটনার ক্ষেত্রে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারে অনুরূপ ক্ষমতা (বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের ক্ষমতা ব্যতীত) প্রয়োগ করতে পারিবেন।

কাঃ বিঃ ১৫৫ এবং পিআরবি ২৫৪ ধারার অধীনে পুলিশ কর্মকর্তা উপযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত কোন আমল অযোগ্য অপরাধের তদন্ত করতে ও তৎসম্পর্কে রিপোর্ট দিতে পারে না। নিয়মতান্ত্রিকভাবে থানায় ডায়রি করে উপযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে নন-এফআইআর প্রসিকিউশন রিপোর্ট দাখিল করতে হবে। কখনও প্রসিকিউশনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের ওয়ারেন্ট ব্যতীত বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করা যাবে না।

লেখক : পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ)

পিবিআই টাঙ্গাইল জেলা।

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)