সাজেদ ফাতেমী
আমার এই লেখাটিকে কোনো নিবন্ধ না ভেবে বরং পুলিশ বাহিনীকে আরও বেশি জনবান্ধব করে তুলতে একটা প্রস্তাবনা ভাবাই যুক্তিযুক্ত।
সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত সামরিক বাহিনী আমাদের দেশের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত। এই তিন বাহিনীর সঙ্গে জনগণের সরাসরি সম্পৃক্ততা খুব একটা নেই। কিন্তু পুলিশ বাহিনী সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়ে আছে। তাই তাদের যেকোনো ধরনের অনিয়ম কিংবা ভুলভ্রান্তি সহজেই মানুষের চোখে পড়ে, যা থেকে মানুষের মনে ক্ষোভ ও ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়। এই ক্ষোভ ও ভ্রান্ত ধারণাগুলো জমতে জমতে পাহাড়সম হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের মন থেকে এসব ধারণার অবসান ঘটানোর দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশ বাহিনীকেই।
২০১৮ সালের এপ্রিলের দুটি ঘটনা উল্লেখ করতে চাই। একটি সড়ক দুর্ঘটনা, অন্যটি যৌন হয়রানি। দুটি ক্ষেত্রেই সাধারণ জনগণের প্রয়োজনে সহায়তার হাত বাড়িয়েছিল পুলিশ। সে সময় একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন শবনম আক্তার পপি নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা। সাধারণ মানুষের প্রতি তার সহমর্মিতার খবরটিতে মানুষ খুশি হয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পপিকে ‘রোল মডেল’ আখ্যা দেয়। কাছাকাছি সময়ে একটি মার্কেটে যৌন হয়রানির শিকার নারীদের পুলিশি সহায়তার ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এমন একটি-দুটি ঘটনা পুলিশের ভাবমূর্তি পাল্টাতে কতোটুকু প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
‘বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা’ – এমন একটি প্রবাদ দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত আছে। এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, পুলিশের প্রতি বিরক্ত মানুষেরাই প্রবাদটি সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছেন। পুলিশ নিয়ে ভালো উদাহরণের যেমন অভাব নেই, তেমনি সমালোচনাও রয়েছে। যেহেতু ‘কুসংবাদ বাতাসের আগে ধায়’, তাই সুসংবাদগুলো পিছিয়ে পড়ে রয়- এটাই বাস্তবতা। সেই বাস্তবতা থেকে নিজেকে বের করে আনার পথ খুঁজতে হবে পুলিশকেই।
গণমাধ্যম ও সাধারণ জনগণ পুলিশের কেবল দোষ ও ভুলগুলোই ধরে। এক শ্রেণীর গণমাধ্যমের প্রোপাগান্ডার কারণে পুলিশের অসংখ্য ভালো কাজের সবকটি জনসমক্ষে আসছে না। ওরে বাবা…পালা…পুলিশ আসছে…। পুলিশ সম্পর্কে আপামর জনতার এই ভীতি ও প্রচলিত ধারণার অবসান ঘটাতে তাই দেশব্যাপী মোটিভেশনাল ক্যাম্পেইনিং চালানো জরুরি হয়ে পড়েছে। এক সময় যেন জনতাই বলতে শুরু করে-
‘ওয়াও… পুলিশ এসেছে… কি শান্তি!!!!!’ তাই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে একটি জনবান্ধব বাহিনীতে পরিণত করতে ‘দূর হোক ভীতি ভয়, পুলিশই বন্ধু হয়’ স্লোগান নিয়ে মাঠে নামা যেতে পারে।
আমি মনে করি, পুলিশের ভালো কাজগুলো জনসমক্ষে তুলে আনতে দেশজুড়ে নিজের ঢোল নিজেই পেটানোর কোনো বিকল্প নেই। আর সেই ঢোল পেটানোর আয়োজন করতে সারা দেশে বেশ কিছু মোটিভেশনাল কার্যক্রম শুরু করা যায়। সেসব কার্যক্রমের অন্যতম হলো মোটিভেশনাল কনসার্ট। পুলিশই মানুষের প্রকৃত বন্ধু- এই বাক্যটি সাধারণ মানুষকে বোঝানোর জন্য তাই ‘বন্ধু চেনো’ শিরোনাম নিয়ে এই বাহিনীর উদ্যোগে সারা দেশে বছরজুড়ে কনসার্ট করা যায়। সংকল্প দৃঢ় থাকলে এবং সেই সংকল্পে অটুট থাকলে কোনো পথই বন্ধুর থাকে না- এই বিশ্বাস থেকে সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটানোর মধ্য দিয়ে দেশের পুলিশ বাহিনীর সম্মান অটুট রাখার চেষ্টা চালানোর এটাই উপযুক্ত সময়।
কনসার্টগুলোর মঞ্চ থেকে গানের ফাঁকে ফাঁকে পুলিশ বাহিনীর নানা ভালো কাজের ফুটেজ ও ভিডিওসংবলিত তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হবে। সেই সঙ্গে পুলিশের বিভিন্ন অর্জন নিয়ে গান ও সেসব গানের মিউজিক ভিডিও তৈরি করে সেগুলো প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। বছরব্যাপী দেশের সব বিভাগীয় শহর, ৬৪ জেলা, সব পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে এসব কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর উদ্যোগে পরিচালিত এই কর্মসূচি তত্ত্বাবধান করবে জেলা পুলিশ অথবা কমিউনিটি পুলিশ।
দেশব্যাপী এই কালচারাল মোটিভেশনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হবে একটি মিউজিক ক্যারাভ্যান। এই ক্যারাভ্যান নিয়ে শিল্পী ও এ প্রজন্মের বিভিন্ন অঙ্গণের তারকাদের একটি দল পর্যায়ক্রমে সারা দেশ সফর করবেন। প্রতিটি শহরে কনসার্টের মঞ্চ থেকে মাদক, জঙ্গিবাদসহ স্থানীয় বিভিন্ন অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে মানুষকে উজ্জীবিত করা হবে। প্রতিটি জেলা স্টেডিয়াম বা জেলা শহরের সবচেয়ে বড় মাঠে কনসার্ট আয়োজন হবে।
প্রতিটি কনসার্টের মঞ্চ থেকে পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইতিবাচক কাজের কথা তুলে ধরবেন এই তারকারা। সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারাও থাকবেন। তারা নিজেরাই ওই জেলার পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছ থেকে (গোপন ব্যালটের মাধ্যমে) অভিযোগ ও মন্তব্য শুনবেন। তারপর পুলিশ বাহিনী নিয়ে নির্মিত ৪/৫ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র দেখানো হবে। এরপরই শুরু হবে ধামাকা কনসার্ট।
আমাদের দেশের গ্রাম-গঞ্জে হাটে-মাঠে-ঘাটে অনেক হকার দেখা যায়। এই হকারেরা আড়াই প্যাঁচের লোহার আংটি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের হালুয়া, বটিকা ও তাবিজ বিক্রি করেন। আর এসব বিক্রি করার ক্ষেত্রে তাঁদের ব্যবহৃত প্রধান মাধ্যমটি হলো গান। বৃহৎ অর্থে সংগীত।
৫/৬ জনের একটি দল হারমোনিয়াম, ঢোল, বাঁশি, মন্দিরা নিয়ে অর্ধবৃত্তাকারে বসে বিখ্যাত কোনো গানের মিউজিক বাজাতে থাকেন। ঢোলের বোল শুনে আশপাশের মানুষ এসে জড়ো হয় তাঁদের আসরের চারদিকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। এবার জনসমক্ষে এসে দাঁড়ান সূত্রধর বা দলের প্রধান। তিনি গান গেয়ে বা কথা বলে দর্শকদের বুঝিয়ে দেন এই আসরের উদ্দেশ্য। একটি গান শেষ হচ্ছে, জোরসে তালি বাজছে। ওয়ান মোর, ওয়ান মোর ধ্বনি উঠছে। দর্শক ভাসতে থাকে সুরের মুর্ছনায়। এভাবে দুই তিনটি গান শেষে সূত্রধর তাঁর প্যান্ডোরার বাক্স মেলে ধরেন দর্শকের সামনে। তাবিজ বা মলম বা আড়াই প্যাঁচের লোহার আংটির উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন। তখন তাঁর কথার ফাঁকে ফাঁকেও মিউজিকের ঝংকার বেজে ওঠে। এক সময় তাঁর কথার জাদুতে বিমোহিত হন আবেগপ্রবণ দর্শক। মুহুর্তের মধ্যে দর্শকের মন পাঠ করতে পারা সেই সূত্রধর তখনই তাঁর মলম বা তাবিজ কেনার উদাত্ত আহ্বান জানান। আর তখন সেই তাবিজ বা মলম ২০/৩০ টাকায় কিনতে দ্বিধা করেন না তাঁরা। এভাবে দেড় দুই ঘণ্টায় তাঁর ও দলের যে উপার্জন হলো, তাঁর প্রধান শক্তি কি সংগীত নয়?
বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশের মানুষের অনেকেই পুলিশের প্রতি বিরক্ত। এ জন্য যে পুরো পুলিশ বাহিনী দায়ী, তা কিন্তু নয়। কিছু কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যের কারণে গোটা বাহিনীর দুর্নাম হচ্ছে। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মোকাবেলার আয়োজন হবে কনসার্টের মঞ্চ থেকে। কোন অসাধু পুলিশ সদস্যের কারণে কে কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তার নাম চিরকুটে লিখে মঞ্চে পাঠাবেন ভুক্তভোগীরা। আবার কোন পুলিশ সদস্যের দ্বারা কে কিভাবে উপকৃত হয়েছেন, তাও জানাবেন সুফলভোগীরা। তারপর সেই ভুক্তভোগীর অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে অসাধু পুলিশ সদস্যদের (তাদের নাম মঞ্চে বলা হবে না) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়া হবে। একইভাবে উপকারী পুলিশ সদস্যদের মঞ্চে ডেকে পুরস্কৃতও করা হবে। এরপরই কনসার্ট।
যে শহরে কনসার্ট হবে, তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানস্থলের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও অনুষ্ঠান সম্পাদনের ব্যবস্থা করা হবে। মিউজিক ক্যারাভ্যান নিয়ে শিল্পী ও কলাকুশলীরা হাজির হবেন নির্ধারিত শহরে। সেখানে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতি থাকবে। সম্ভব হলে প্রতিটি অনুষ্ঠানে প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে এর কারণ ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবেন। এভাবে একেকটি অনুষ্ঠান গড়ে ২০ হাজার দর্শক সরাসরি দেখতে পাবেন।
কনসার্টের কাভারেজ ও প্রচার
মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকবে অন্তত একটি টেলিভিশন ও একটি পত্রিকা। ওই জেলার মাদক ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিশেষ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করে কনসার্টের দিন প্রচার ও প্রকাশের ব্যবস্থা করবে মিডিয়া পার্টনাররা। তারা দেশব্যাপী এই কনসার্টের প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে খবর প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করবে। এ ছাড়া, আরও অন্তত ১০টি পত্রিকা ও ১০টি টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচারিত হবে। পত্রিকা ও টেলিভিশনের সুবাদে কনসার্টের খবর দেখতে ও জানতে পারবে আরও অন্তত ৫ কোটি মানুষ। প্রতিটি অঞ্চলের কনসার্টের সময়সূচিও এসব চ্যানেল ও পত্রিকায় প্রচারিত ও প্রকাশিত হবে।
সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটলে পুলিশও জাগবে
জঙ্গিবাদের বিস্তার, সাংস্কৃতিক বন্ধ্যাত্ব, মাদকের আগ্রাসন, হানাহানি ও পরিবেশ বিপর্যয়- এ সময়ের মানুষের বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের যাবতীয় অগ্রগতি যেন থমকে আছে এই প্রপঞ্চের বৃত্তে। এই বৃত্ত থেকে তরুণদের বের করে আনার সঠিক দিক নির্দেশনাটুকু দিতে হবে। এই প্রপঞ্চ থেকে উত্তরণের বড় উপায় হলো দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক জাগরণ তৈরি করার মধ্য দিয়ে সব বয়সী মানুষের মাঝে বিরাজমান পুলিশ-ভীতি দূর করা। শুধু কনসার্টেও মঞ্চ থেকে সুন্দর সুন্দর কথা বললেই রাতারাতি সবার পুলিশভীতি দূর হয়ে যাবে না। সব কিছুর একটা শুরু থাকে। এই উদ্যোগ সেই শুরু মাত্র।
সংগীত হলো সেতুর মতো
একজন সচেতন মানুষের চিন্তা-চেতনার জগৎকে শাণিত করার অন্যতম বড় অস্ত্র হলো কালচারাল মোটিভেশন। আর মোটিভেশনের নিয়ামক শক্তি হলো গান বা সংগীত। মানুষের জীবনে সংগীত হলো সেতুর মতো- যা যাবতীয় সুখ দুঃখ ও আনন্দ বেদনার মাঝে এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটায়। বহু মানুষের জীবনে এক এর প্রভাব খুবই স্পষ্ট। একজন শিল্পীর সঙ্গে হাজার হাজার দর্শকের মধ্যে সেতুবন্ধনের শক্তিশালী মাধ্যম হলো গান।
একটি সুন্দর গান যেমন মুহুর্তে মানুষের দুঃখ-কষ্ট-হতাশা মুছে দিতে পারে, তেমনি সেই গানই মানুষের ভালো কাজে প্রেরণা পাওয়ার অনন্ত উৎস হয়ে উঠতে পারে। উদাহরণ হিসেবে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত উদ্দীপনামূলক গানগুলোর কথা স্মরণ করা যায়। সেইসব গান তখন মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছিল দেশমাতৃকার মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে। সাংস্কৃতিক বন্ধ্যাত্ব ও পুলিশ সম্পর্কে মানুষের ভীতি ও নেতিবাচক ধারণা দূর করতে এই সময়ে আমাদের প্রয়োজন আরেক যুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধের ময়দানে যোদ্ধাদের প্রেরণা জোগাবে এসব কনসার্ট।
কনসার্টের মঞ্চ থেকে তরুণদের মনে এতটুকু বোধ জাগিয়ে দিতে হবে যে, তোমাদের নিজের জীবনটাকে সঠিক পথে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব তোমাদেরই। তোমার জীবন একান্তই তোমার। এই জীবনে যা করবে, তার ফল শুধু তোমাকেই ভোগ করতে হবে। বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশি কেউ তোমার জীবনের কোনো কিছুর অংশীদার হবে না। তুমি খুব ভালো করে জানো, জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততা কিংবা মাদকাসক্তি একটি জীবনকে কেবল বিপথেই নিয়ে যায়। তোমাকে ও তোমার পরিবারকে সমাজের কাছে ছোট করে দেয়। জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা অন্ধকারের পথে নিয়ে যায়। কাজেই তোমার নিজের স্বার্থে তোমাকে এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। একবার তুমি রুখে দাঁড়াও, দেখবে সারা বাংলাদেশ তোমাকে স্যালুট করবে। তরুণ প্রজন্মকে বোঝাতে হবে অস্ত্র নয়, হানাহানি নয়, মাদক নয়, দলীয় সংকীর্ণতায় গন্ডিবদ্ধ থাকা নয়- তোমরা জেগে ওঠো দেশের কল্যাণে। তোমাদের যোগ্যতা ও শক্তি লাগাও দেশের কাজে।
লেখক : ভোকাল, নকশীকাঁথা ব্যান্ড
ও ডিরেক্টর, পাবলিক রিলেশন্স, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি।
0 Comments