প্রখ্যাত ব্রিটিশ লেখক, বক্তা এবং শিক্ষাবিদ স্যার কেন রবিনসন তার সাড়া জাগানো Out of Our Minds-(2011) গ্রন্থে বলেছেন, ÔThe more complex the world becomes, the more creative we need to be to meet its challenges’—অর্থাৎ পৃথিবী যতই জটিল হয় তার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য আমাদের ততই সৃষ্টিশীল হওয়া দরকার। বর্তমান বিশ্বের শিক্ষাঙ্গনে এবং কর্মক্ষেত্রে রবিনসনের এই তত্ত্ব বারবার প্রমাণিত হচ্ছে। মানুষের এখন সফল হতে হলে সৃষ্টিশীল হতেই হয়। কিন্তু সাফল্যের ধারণা যেহেতু পরিবর্তনশীল তাই শিক্ষা পদ্ধতিকেও বারবার পরিবর্তিত অর্থাৎ যুগোপযোগী হতে হয়। বিশ শতকের শিক্ষাব্যবস্থায় অবশ্য সৃষ্টিশীলতার চাইতে সম্মতি (Compliance) এবং সংগতি (Comformity)-এর গুরুত্ব ছিল অনেক বেশি। একটা পেশাদার করপোরেট পরিবেশে যুগ যুগ ধরে ভালো চাকরির নিশ্চয়তার জন্য বিশ্বস্ত গুণাবলি হিসেবে কাজ করেছে এই সম্মতি এবং সংগতি। কিন্তু দ্রুততম পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তির অভাবিত উন্নয়নের যুগে এবং প্যানডেমিকের মতো বৈশ্বিক বিপর্যয়ের চরম অনিশ্চয়তার যুগে জীবন ও জীবিকা টিকিয়ে রাখতে হলে শিক্ষাব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন দরকার।
আমরা এক নজিরবিহীন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের যুগে বাস করছি। আমাদের হাতে রয়েছে এক বিশাল বিস্ময়কর তথ্যবিশ্বের চাবি। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ প্রায় ৫ বিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। প্রায় ৪ বিলিয়ন গুগল সার্চ হয় প্রতি মিনিটে। প্রতি দুই দিনে আমরা এত তথ্য সৃষ্টি করি, যা সভ্যতার শুরু থেকে ২০০৩ পর্যন্ত সৃষ্ট তথ্যরাশির সমান অর্থাৎ ৫ এক্সাবাইট। বিশ্ব তথ্যভাণ্ডারের ৯০ শতাংশ সৃষ্টি হয়েছে মাত্র গত দুই বছরে। এই দ্রুততমভাবে বর্ধনশীল সংযোগ নজিরবিহীন প্রক্রিয়াকরণ এবং সংরক্ষণ ক্ষমতা, সীমাহীন তথ্য প্রবেশাধিকার এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিকস, ইন্টারনেট অব থিংস, অটোনোমাস ভেইকেলস, থ্রিডি প্রিন্টিং ন্যানোটেকনোলেজি, বায়োটেকনোলজি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রভৃতি যুগান্তকারী প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন মানুষের অস্তিত্ব ও বিকাশের অনুকূলে কাজে লাগাতে হলে উচ্চশিক্ষাকে সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ হিসেবে দেখতে হবে।
একুশ শতকের শিক্ষাঙ্গনে সব স্তরে শিক্ষার্থী হিসেবে যারা জ্ঞানার্জন করছে, তাদের বলা হচ্ছে ডিজিটাল অধিবাসী (Digital Natives)। এরা দুটো প্রজন্ম ধরে গড়ে উঠেছে। প্রথমটি জেনারেশন জেড- যারা ১৯৯৫ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে জন্মলাভ করেছে এবং স্কুলজীবন থেকেই ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, আইপ্যাড, স্মার্টবোর্ড প্রভৃতি ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করছে। দ্বিতীয়টি জেনারেশন আলফা- যারা ২০১০-এর পর জন্মলাভ করেছে। এই প্রজন্মের কাছে ডিজিটাল ডিভাইস ডালভাতের মতো ব্যাপার। এই দুই জেনারেশনের ছেলে-মেয়েদের আঙুলের ডগায় রয়েছে বিশ্ব-তথ্যভাণ্ডার। দেশভেদে এই ডিজিটাল নেটিভদের অবস্থাগত তারতম্য থাকলেও পৃথিবীর সব দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে যুগপ্রসূন এই প্রজন্মদ্বয়ের কথা
মাথায় রাখতে হবে।
সময়ের পরিবর্তন পরিস্থিতির অনিবার্যতার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের অস্তিত্ব ও বিকাশের অনুষঙ্গী হিসেবে শিক্ষার তিনটি লক্ষ্য নির্ধারণ করার চেষ্টা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রথমত, দ্রুত এবং নিয়ত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন শিক্ষার্থীদের হস্তান্তরযোগ্য/স্থানান্তরযোগ্য দক্ষতার (transferable skills) অধিকারী করতে হবে। দ্বিতীয়ত প্রাপ্ত তথ্য ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং তৃতীয়ত ২১ শতকের বৈশ্বিক লোকবলের (Digital workforce) উপযোগী করে পুরো প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। এই তিন মূল লক্ষ্যকে মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার রূপরেখা প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছেন বরেণ্য শিক্ষাবিদেরা। তাই বলে দেশ-সমাজ ও সংস্কৃতিভেদে নতুন সংযোজনকে নিরুৎসাহিত করা হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ ২১ শতকের দক্ষতাকে শিক্ষায় রূপান্তরিত করার জন্য partnership for 21st Century Learning’ নামে একটি মডেল (P21 Framework) প্রস্তাব করে, সেখানে আজকের শিক্ষার্থীদের জন্য চারটি মৌলিক দক্ষতার কথা বলা হয়। এক. সৃজনশীলতা/উদ্ভাবন (Creativity/Innovation) দুই. সমালোচনামূলক চিন্তন (Critical Thinking), তিন. যোগাযোগ (Communication) এবং চার. সহযোগিতা (Collaboration). সৃষ্টিশীলতা বলতে তথ্য ও উদ্ভাবনকে নতুনভাবে প্রয়োগ করা বোঝাবে। সমালোচনামূলক চিন্তার দ্বারা নানামাত্রিকভাবে তথ্য বিশ্লেষণ এবং উত্থাপিত দাবিসমূহকে সমালোচনা করা হয়। তথ্য সরবরাহ অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করার জন্য যোগাযোগ দরকার। আর সহযোগিতা বলতে টিমওয়ার্ক বা পার্টনারশিপ বোঝায়, যা যে কোনো অর্জনকে টেকসই করার জন্যে এক অনিবার্য উপাদান। সে কারণেই সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল ১৭ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে পার্টারশিপ। এসব দক্ষতা অর্জনের সূতিকাগার হলো উচ্চশিক্ষাঙ্গন, অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়। এই চারটি দক্ষতা অর্জন করা ছাড়া একজন শিক্ষার্থী নিজেকে ২১ শতকের উপযোগী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে না।
সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী দক্ষতাসম্পন্ন সমালোচনামূলক চিন্তনের অধিকারী যোগাযোগক্ষম এবং সহযোগিতার মান এবং মানসিকতাসম্পন্ন শিক্ষার্থী উৎপাদন বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে কিংবা শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কিংবা ভিশন ২০২১, ভিশন ২০৪১ কিংবা ডেলটা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নের কারিগর হিসেবে কাজ করবে এই চার দক্ষতায় ঋদ্ধ শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনা সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ একটি সুপরিকল্পিত, সুসমন্বত এবং সুদূরপ্রসারী শিক্ষানীতি। এখানে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন, বাংলাদেশ সংবিধানের আর্টিকেল ১৭, জাতিসংঘের এডুকেশন ফর অল পলিসি, মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস এবং অন্যান্য শিক্ষাসংক্রান্ত বৈশ্বিক ঘোষণাপত্রের ছোঁয়া রয়েছে। এই শিক্ষানীতির মৌলিক দিকগুলো অক্ষুণ্ন রেখে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বায়নের সঙ্গে খাপ খাইয়ে বাংলাদেশের স্নাতকদের একুশ শতকের উপযোগী ওয়ার্ক কোর্স হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের উচ্চশিক্ষা কাঠামোকে বারবার আধুনিকায়ন করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিকীকরণ এবং শিক্ষার্থীর বিশ্বায়ন ছাড়া সম্ভবপর নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ মূলত চারটি স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল : এক. মানবসম্পদ উন্নয়ন, দুই. নাগরিকদের সংযুক্তকরণ, তিন. ডিজিটাল প্রশাসন এবং চার. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন।
মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে অনেক পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। দক্ষ ও ডিজিটাল-রেডি লোকবল সৃষ্টির জন্য প্রতি বছর ৫ লাখ স্নাতকের মধ্যে ৭০ হাজারকে ITES (Information Technology Enabled Services) পেশাদার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের ভাষ্যমতে, বাংলাদেশে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অনলাইন লোকবল সরবরাহ করে। নাগরিক সংযুক্তকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ সংযুক্তি স্থাপনে সক্ষম হবে বলে আশাবাদী। বর্তমানে ৯৫ মিলিয়ন ইন্টারনেট এবং ১৬৫ মিলিয়ন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যা বাংলাদেশকে এশিয়া প্যাসিফিকের মধ্যে পঞ্চম মোবাইল মার্কেট এবং বিশ্বের মধ্যে নবম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (BSCCL) বাংলাদেশের মানুষকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফাইবার অপটিক সাবমেরিন ক্যাবল ব্যান্ডউইথ এবং সর্বাধুনিক ইন্টারনেট ট্রানজিট সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ের সঙ্গে সংযুক্তি করেছে। আরো উত্তেজনাকর খবর হলো বাংলাদেশ অচিরেই তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে সংযুক্ত হতে যাচ্ছে, যার ফলে আমরা প্রতি সেকেন্ডে ৬ টেরাবাইট ব্যান্ডউইথ পাব, যা প্রায় অবিশ্বাস্য। ই-গভর্ন্যান্সেও আমরা ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটির স্বীকৃতি পেয়েছি। দেশজুড়ে ৫ হাজার ডিজিটাল সেন্টার সমাপন করা হয়েছে, যা ডিজিটাল ডিভাইড সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের চতুর্থ স্তম্ভ আইসিটি ক্ষেত্রেও অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, যা জনগণকে আর্থিক, টেলিযোগাযোগ এবং স্বাস্থ্যসেবায় সহায়তা দিচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ১২০টি কোম্পানি বিশ্বের ৩৫টি দেশে ICT দ্রব্যাদি রপ্তানি করে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করছে, যা অতিশ্রীঘ্র ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। ICT শিল্পের টেকসই উন্নয়ন বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল অর্থনীতি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞান অর্থনীতিতে (knowledge econogmy) উন্নীত করবে।
বাংলাদেশ কাক্সিক্ষত সময়ের আগেই উন্নয়নশীল দেশের স্ট্যাটাস পেয়েছে। কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। শিল্পোৎপাদনে গতিশীলতা এসেছে। কিন্তু কেবল কৃষি আয় শিল্পোন্নয়ন দিয়ে উন্নত দেশে উত্তরণ সম্ভব নয়। সার্ভিস সেকটরের উন্নয়ন দরকার। বিশ্ব অর্থনীতির বৃহত্তম খাত হলো সেবা খাত। বাসন পরিষ্কার করা থেকে বিমান চালনা, রক কনসার্ট থেকে ব্রেইন সার্জারি কিংবা সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সবই সার্ভিস সেকটরের ভেতরে পড়ে। বিশ্বের উন্নতদেশগুলোর সবগুলোই অর্থনৈতিক ভিত, মূলত এই খাতের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের যে বিশাল জনশক্তি রয়েছে, তাকে বৈশ্বিক জনসম্পদে রূপান্তরিত করে বাংলাদেশের সার্ভিস সেকটরের উন্নয়ন ঘটানো যাবে। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নতুন নতুন ভূমিকা পালন প্রয়োজন। ইনোভেশন হার, একাডেমিক ইনকিউবেটর হিসেবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রস্তুত করতে যাবে। সিলিকন ভ্যালি স্পিরিট-হাইটেকনোলজি, ইনোভেশন, ভেনচার ক্যাপিটাল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উদ্ভাবক, গবেষক, উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। কেবল সার্টিফিকেটধারী সরকারি চাকরি প্রত্যাশী সনাতনী স্নাতক বনে থাকা চলবে না। চারটি মৌলিক প্রবণতা বর্তমান বিশ্বের সমাজ-সভ্যতা-রাষ্ট্র সবকিছুকে প্রভাবিত করছে।
প্রথমত, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা; দ্বিতীয়ত, জীবনবৈচিত্র্য রক্ষায় দায়; তৃতীয়ত দ্রুত নগরায়ণের প্রকোপ মোকাবিলা এবং চতুর্থত, চতুর্থ শিল্পবিপ্লরের অভিঘাত মোকাবিলা। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার নীতি নির্ধারণে এবং বাস্তবায়নে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। মোদ্দা কথা হলো, বাংলাদেশে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর সর্বজনীন মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যেখানে কোর্স-কারিকলাম আমাদের জাতীয় ভিশন-মিশন-লক্ষ্য-পরিকল্পনা প্রভৃতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবে প্রণীত হবে। এর সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য থাকবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবসহ সব অনিবার্য বিশ্বপরিস্থিতির মোকাবিলা করা- বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা এবং বৈশ্বিক জ্ঞান অর্থনীতিতে অবদান রাখা। শিক্ষা যদি জাতির মেরুদ- হয় তাহলে উচ্চশিক্ষা জাতির মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক পরিচালনা করে সমস্ত দেহকা-কে। মস্তিষ্ক আবার সক্রিয় থাকে চর্চায়, অনুশীলনে।
লেখক : বাংলা-ইংরেজি লেখক, কলামিস্ট
কথাসাহিত্যিক এবং সাবেক উপাচার্য
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।