ই-পেপার

ডিটেকটিভ রিপোর্ট

পুলিশ পরিবারের সন্তানদের নিয়ে রাজারবাগে ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ সকাল ১০ টায় “এসো শিখি ও মনের কথা বলি” শিরোনামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর সভানেত্রী জীশান মীর্জা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুনাক সভানেত্রী বলেন, তোমার বাবা-মা কিংবা পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য সর্বদা দেশের মানুষকে সার্ভিস দিচ্ছে বলে তোমরা, আমরা এবং দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে চলতে পারছে। পুলিশ দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করে কিন্তু ছুটি পায় না। তাই তোমরা গর্ব করে বলতে পার তোমরা পুলিশ পরিবারের সন্তান। তিনি পুলিশের সন্তানদের অভয় দিয়ে বলেন, তোমার মা-বাবা পুলিশে চাকরি করে বলে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং হয় তাই তোমাদের ফ্রেন্ডশিপের প্রবলেম হতে পারে। তোমরা আমাদেরই সন্তান আজকের এ অনুষ্ঠানে তোমাদের সকল সমস্যার কথা শেয়ার করতে পারো।

উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেলিনা ফাতেমা বিনতে শহিদ সহকারী অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, নাইমা নিগার সহকারী অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মাহফুজা লিজা বিপিএম, অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার সিটিটিসি।

আলোচনা সভায় পুলিশ পরিবারের সন্তানেরা জীবনে চলার পথে পরিবারে, স্কুলে ও সমাজে সমস্যার সম্মুখীন হলে তাদের কী করণীয় তা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন উপস্থিত আলোচকবৃন্দ। পুলিশ পরিবারের সন্তানদের বিভিন্ন সমস্যা শুনে বিশেষজ্ঞগণ বলেন, তোমরা যদি কোনো কারণে মানসিক চাপে থাক, মন খারাপ হয়, মেজাজ খিটখিটে থাকে, কেউ তোমার পয়েন্ট অব ভিউকে রেসপেক্ট না করে, লেখাপড়ায় মন বসছে না ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে তোমাদের পরিস্থিতিটাকে সবসময় পজিটিভভাবে চিন্তা করতে হবে। মানসিক চাপ কমাতে তোমাদের উচিত মজার গল্পের বই পড়া, ড্রইং করা, বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করা, শারীরিক ব্যায়াম করা ও সুন্দর গান শুনা। মনের মধ্যে কোনো কিছু লুকিয়ে না রেখে বাবা-মায়ের সাথে সব কিছু শেয়ার করতে হবে তাহলে তোমাদের মানসিক চাপ অনেকটা শিথিল হবে।

সাইবার সচেতনতা নিয়ে ডিএমপির ইন্টেলিজেন্স এ্যানালাইসিস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহ্ফুজা লিজা বলেন, আজকের কোমলমতি শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। করোনাকালীন তোমরা সবাই ঘরে আবদ্ধ রয়েছ। এ সময় তোমরা ইন্টারনেটে গেমস, বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় অন্যদের সাথে শেয়ার করছ। এটা তোমাদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের জীবন একদমই চলে না। তাই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারে খুবই সচেতন থাকতে হবে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে অপরিচিত কাউকে বন্ধু বানানো যাবে না, ব্যক্তিগত কোনো ছবি তাদের সাথে শেয়ার করা যাবে না। এরপরও যদি কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হও তাহলে বাবা-মাকে বিষয়টি দ্রুত জানাবে। পাশাপাশি তোমরা সাইবার সেন্টার অব সিআইডির হটলাইন-০১৭৩০-৩৩৬৪৩১, ডিএমপির সিটিটিসির হেল্পডেস্ক-০১৭৬৯-৬৯১৫২২ ও জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বারে তোমাদের সমস্যার কথা জানাতে পারো। ইন্টারনেটই হোক তোমাদের ইতিবাচক পরিবর্তনের সঙ্গী।

উক্ত আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সহ-সভানেত্রী, কার্যনির্বাহী সদস্যসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x