ড. রাশিদ আসকারী
‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ র অপবাদ ঘুচিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন আর শুধু বাংলাদেশেরই নয়, পুরো প্রাচ্যের বিস্ময় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি আমরা নিজেরা দেইনি। খোদ মার্কিন বহুজাতিক ব্যাঙ্কিং ফার্ম গোল্ডম্যান স্যাচ, যারা বৈশ্বিক বিনিয়োগ ব্যাঙ্কিং, বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তাসহ অন্যান্য আর্থিক সেবা নিয়ে কাজ করছে, তারাই বাংলাদেশের সমকালীন অর্থনীতিকে একেবারে প্রাচ্যের অলৌকিক বলে দাবি করেছেন (The miracle of east)। তাদের এই দাবী নিছক ছেলেমানুষি নয়। ক্ষুধা-দারিদ্র-মঙ্গা পীড়িত বাংলাদেশ আজ এক উদীয়মান অপ্রতিরোধ্য ব্যাঘ্র। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা, শেয়ার বাজার ধস, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ কোন কিছুই বাংলাদেশের এই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারছে না। সকল জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাঁধা অতিক্রম করে আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে। বেড়ে চলেছে জিডিপি গ্রোথ, মাথাপিছু আয়, ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় সবকিছুই। অর্থনীতির সকল সূচকই এখন ঊর্ধগামী। আর এই অগ্রগামিতার উত্তাপ যে কেবল সূচক চিত্রেই সীমাবদ্ধ থাকছে তাও নয়। একেবারে দৃশ্যমানভাবে তার অস্তিত্ব বিকশিত হচ্ছে আর প্রতিকূলতা পেরিয়ে যাওয়া এই অগ্রযাত্রাকেই হয়তো মূল্যায়নকারীরা অলৌকিক/বিস্ময়কর বলতে চাইছেন।
সত্যিই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। সারা দেশ ঘুরলে কোথাও এখন আর সেই র্জীন-শীর্ণ কুড়ে ঘর, ক্ষুধাতুর অস্থিচর্মসার মানুষ, বুড়ো হালের বলদ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বন্যা-খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়তে সাময়িকভাবে নিম্নবর্গীয় জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে, কিন্ত তা সামলিয়ে উঠতেও খুব বেশি সময় লাগে না। যে জনজীবনের সাথে একদা দুর্ভিক্ষ, মঙ্গা, মন্বন্তর শব্দগুলো ওতোপ্রতোভাবে জড়িত ছিল, সেই জনজীবন এখন অনেক বেশি সুখকর, স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ। তাই বলে এখনো পুরোপুরি দাবি কারার সময় আসেনি যে আমরা শতভাগ সুরক্ষিত। শতভাগ নিরাপদ। তবে আমরা এতটুকু দাবি করতেই পারি যে, প্রতিবেশি অনেক দেশের তুলনায় এবং আমাদের সমান্তরালে অবস্থিত বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমরা অনেক বেশি সুবিধেজনক অবস্থান অর্জন করেছি। ভারতের মত আর্থিক ক্ষমতাধর দেশে এখনো যেখানে ষাট লক্ষের বেশি নর-নারী খোলা আকাশের নীচে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়, ডুয়ার্সের চা বাগানে এখনো যেখানে কথিত ডাইনি পুড়িয়ে মারা হয়, তখন বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করছে। উন্নয়নের অর্থ সামাজিক অনেকগুলো সূচকে যে বাংলাদেশ ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে সে সাক্ষ্য স্বয়ং ভারতীয় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনই দিচ্ছেন। আর পাকিস্তানের সাথে তুলনা তো প্রশ্নই ওঠেনা। খোদ উপাসনালয় যেখানে অনিরাপদ, সেখানে উন্নয়নের প্রশ্ন কতোটুকুই বা প্রাসঙ্গিক।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের আরেকটি প্রধান দিক হলো এই উন্নয়ন কোন আকস্মিক উন্নয়ন নয়। মেঘাচ্ছন্ন অন্ধকার আকাশে হঠাৎ আলোর ঝলকানি নয়, কিংবা পান্ডুর-বিবর্ণ দেহে ক্ষণিকের ঔজ্জ্বল্য নয়। এই উন্নয়ন সুপরিকল্পিত, ধারাবাহিক এবং টেকসই। মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোলসের (MDG) সিঁড়ি বেয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলসের (SDG) দিকে। রূপকল্প ২০২১-এর যে অভীষ্ট, একুশ শতকের তৃতীয় দশকের শুরুতেই মধ্যম আয়ের দেশে যাওয়া- তা সম্ভবত আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্জন করতে সক্ষম হবো। তার সুলক্ষণগুলো ইতোমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে। সম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে গ্রোথ রেট ৬ এর ওপরে ধরে রেখেছে এবং সম্প্রতি তা ৭ অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। আজ বাংলাদেশের অর্থনীতি ১৮০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্কের মতে এই অগ্রযাত্রা ২০২১-এ গিয়ে ৩২২ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌছাবে। অসংখ্য বিনিয়োগ সুবিধা সৃষ্টি হবে। বিশ্বব্যাঙ্ক ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাদের প্রতিবেদন মতেই বাংলাদেশে শ্রমিক মজুরী বৃদ্ধি পেয়েছে, জন্মহার কমেছে, যা নির্ভরতা হার কমাতে এবং মাথাপিছু আয় বাড়াতে সহায়ক হচ্ছে।
বাংলাদেশের বাজার-নির্ভর অর্থনীতি আজ সাধারণ বিচারে বিশ্বের ৪৪তম অর্থনীতি এবং ক্রয় ক্ষমতার সাম্যের (Purchasing power parity) বিচারে বিশ্বের ৩২তম অর্থনীতি। পরবর্তী একাদশে (Next 11) উদীয়মান বাজার অর্থনীতির তালিকাভূক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (IMF) হিসেব মতে বাংলাদেশ তার ৭.১% প্রবৃদ্ধিসহ ২০১৬ সালের দ্বিতীয় দ্রুততম বর্ধিষ্ণু অর্থনীতি হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। এদেশের অর্থ খাত এখন উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থ খাত। বাংলাদেশ বর্তমানে কমনওয়েলথ, D-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন, সার্ক, আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক, ওয়াল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের সুযোগ্য সদস্য হিসেবে উন্নয়নের সোপান বেয়ে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ সফরে আসা মার্কিন পরারাষ্ট্র সচিব জন কেরি বঙ্গবন্ধু যাদুঘর পরিদর্শন করতে গিয়ে পরিদর্শন বইয়ে, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এবং এর পিছনে বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও রাজনীতির সুযোগ্য উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
বাংলাদেশের এই অসামান্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন দৈবযোগে সংঘটিত হয়নি। এর পেছনে রয়েছে একজন মানুষের স্বপ্নসাধ, অসংখ্যের শ্রম-ঘাম, আর একটি সুদক্ষ সরকারের নেতৃত্ব, বিশেষ করে সেই সরকার প্রধানের দৃঢ়তা, আন্তরিকতা, স্বাপ্নিকতা এবং দেশপ্রেম। সত্যিই আজ বাংলাদেশের উন্নয়নের উপাখ্যানে জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদানের জুড়ি মেলা ভার। শেখ হাসিনা আজ কেবলমাত্র বাংলাদেশের উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, তিনি আজ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন-রাজনীতির রোল মডেল। দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক অঙ্গণে এক অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ-অনুঘটক। শেখ হাসিনা তাঁর অনুপম ব্যক্তিত্ব, গতিশীল চৌকস নেতৃত্ব, কর্মদক্ষতা, মেধা ও ব্যক্তিগত কারিশমা দিয়ে নিজ দলে নিজেকে বিকল্পহীন হিসেবে এবং দেশে এবং দেশের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছর ধরে নিজের দলকে সাফল্যের সাথে নেতৃত্ব দিয়ে আবার তিনি নবমবারের মত নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। বিগত কাউন্সিলে একদিকে যেমন তাঁর দলের নেতাকর্মীরা তাকে আমৃত্যু পার্টি প্রধান হিসেবে কাজ করে যাওয়ার ম্যান্ডেট দিয়েছে তেমনি বহির্দেশীয় অতিথি রাজনীতিকেরাও তাঁর আন্তর্জাতিক গুরুত্বের কথা নানাভাবে প্রকাশ করেছেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্রমাগত প্রমাণ করে চলেছেন যে, তিনি কেবল তাঁর দলের জন্যেই নয় তিনি তার দেশের জন্যেও এক অতি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বঙ্গবন্ধু যেমন আওয়ামীলীগের মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার দিকে পরিচালিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন; সাড়ে সাত কোটি মানুষকে চূড়ান্ত স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন এবং স্বাধীনতা পাইয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর রক্ত ও রাজনীতির সুযোগ্য উত্তরাধিকার জননেত্রী শেখ হাসিনাও তেমনি ষোল কোটি মানুষকে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে নিয়ে চলেছেন। এই জায়গায় পিতা-কন্যার অবস্থান পরস্পরের পরিপূরক।
আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন যে বিশ্বের বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে তার পেছনে কাজ করছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন এবং তা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবাসীর তৎপরতা।
শেখ হাসিনা একজন দূরদর্শি মৌলিক সৃজনশীল রাষ্ট্রনায়ক। পশ্চিমের উন্নয়ন স্ট্রাটেজির গড্ডলিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে নিজের দেশ এবং মানুষের উন্নয়নের জন্য উপযোগী মৌলিক ও টেকসই উন্নয়ন রূপরেখা প্রণয়ন করে একের পর এক তা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে তাঁর দলের পক্ষ থেকে দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য উৎসর্গীকৃত “পরিবর্তনের সনদ” তাঁর উন্নয়নমুখী নেতৃত্বের জলন্ত দৃষ্টান্ত। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, এনার্জি নিরাপত্তা, দারিদ্র বিমোচন, দূর্নীতি দমন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার পঞ্চপ্রত্যয় নিয়ে তিনি এবং তাঁর দল বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ এক ভূমি ধ্বস বিজয়ের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতা অর্জন করে। তারপর পরপর দু-দফা শাসনামলে সেই উন্নয়নের রোডম্যাপ থেকে একচুলও বিচ্যুতি হননি। ভিশন ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য একে একে প্রণয়ন করেছেন ২০১০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত বিস্তৃত পারসপেকটিভ পরিকল্পনা যার বাস্তবায়ন প্রকৌশল আবার বিন্যস্ত হয়েছে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১১-২০১৫) এবং ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০) এর মধ্যে।
শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনার সরকার ডেলটা পরিকল্পনা ২১০০ (Delta Plan 2100) নামে দেশের দীর্ঘতম ভিশন-নির্ভর সর্বাত্মক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। দেশের সকল ডেলটা সংশ্লিষ্ট এলাকাসমূহকে অন্তর্ভূক্ত করে একটি বহুমুখী সমন্বিত এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে এই পরিকল্পনা বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাবে। পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাদ্য ও পানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে দেশের সম্পদ এবং সম্ভাবনা সমূহের সুষ্ঠু ব্যবহারই এই প্লানের লক্ষ্য। ডেলটা প্লান সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হওয়া শুরু হলে ২০৩০ সালের মধ্যেই দেশের GDP প্রবৃদ্ধি ১.৫ শতাংশ বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। আন্তর্জাতিক ভূবনে স্বীকৃতি আর উদ্ধৃতির বিষয়। বিগত স্বাধীনতার মাসে (ডিসেম্বর-২০১৭) জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীর দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। Per Capita GNI, Human Resource Index Ges Economic vulnerability index এর সকল শর্ত পূরণ করে বাংলাদেশ LDC থেকে DC এর মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। এদিকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিভিন্ন মিডিয়াতে উদ্ধৃত হচ্ছে বাংলাদেশের নাম। সম্প্রতি পাকিস্তানের এক মিডিয়ায় টক শোতে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রীর অতি উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন পরিকল্পনার সমালোচনা করতে গিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক জায়গাম সক্ষোভে বলেন- অতো দরকার নাই -‘হামে বাংলাদেশ বানা দো’।
শেখ হাসিনা, সকল বিচারেই বাংলাদেশের উন্নয়নের মুকুটহীন সম্রাজ্ঞী। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আর উন্নয়ন দিয়েছেন। কিসিঞ্জার কথিত “তলাবিহীন ঝুড়ি” এখন কানায় কানায় পূর্ণ। আর প্রতিটি সফল্যই শেখ হাসিনার মুকুটের একেকটি পালক। হাসিনা বাংলাদেশের দীর্ঘতম মেয়াদাধিকারী প্রধানমন্ত্রী এবং জনপ্রত্যাশা মতে তিনি আরোও অনেককাল থাকুক। উন্নয়নকে আরো গতিময়তা দেয়ার জন্য। কারণ শেখ হাসিনার বিজয় মানে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা- আর তাঁর পরাজয় মানে আবারো বাংলাদেশের মুখ থুবড়ে পরা। আবারো অমানিশার কাল। অগ্রসরমান আলোকিত বাংলাদেশের আরেক নাম হাসিনা।
লেখক: কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট এবং ভাইস-চ্যান্সেলর, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
0 Comments