বাবা, তুমি আমাদের বাবা,
তুমি ছাড়া এ পৃথিবী সবই যেন ফাঁকা।
তোমার হাতটি ধরে বাবা, পাঠশালায় যেতাম,
তোমায় বাবা, ফাঁকি দিয়ে তেতুল, বরই খেতাম।
খেলাধুলায়, মাছধরায় কাপড়ে লাগতো দাগ,
বাবা তুমি আদোর করতে, করতে নাকো রাঁগ।
তেল-মাখিয়ে, চুল-আচড়িয়ে, বাবা তুমি দিতে,
আদর স্নেহ করে তুমি মুখে চুমো খেতে।
বাবা, তুমি আমাদের বাবা,
সংসারের সকল খবর তোমার আছে জানা।
তোমার সংসারে অভাবের টানাটানি,
বাবা তুমি কষ্ট করে ডাল-চাল আনি।
সংসারের হাঁড়িতে যখন থাকেনা ভাত,
বাব তোমার (তখন) মাথায় ওঠে হাত।
ছকিনা, জরিনা, রহিমার পরার কাপড় নাই,
বাবার চিন্তা কোথায় গেলে কাপড় জামা পাই।
(বাবা), তোমার ছেলে মেয়ের পড়া লেখার বেতন হয়েছে বাঁকী,
তুমি দুঃখ করে বলতে থাকো জীবন কেমনে রাখি।
তবুও বাবা তুমি শক্ত হয়ে থাক,
ছেলেমেয়ের মুখো চেয়ে হাল ধরে রাখো।
বাবা, তুমি রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে করো শুধু কাজ,
কখনও শ্রমিক, দিনমজুর, তোমর নহি লাজ।
বাব, তুমি খেয়ে না খেয়ে কাজে চলে যাও,
তুমি ছেলেমেয়ের সুখের জন্য কি আনন্দ পাও।
শত কষ্টের মাঝে তুমি ছেলেমেয়ের বিয়ে সাধি দাও,
মহান তুমি, ধন্য বাবা অনেক সম্মান পাও।
ঘাম-ঝরা ঐ ক্লান্তে দেহে বাসায় (বাড়ীতে) যখন আসো,
হাসি মুখে বাবা তুমি কত ভালো বাসো।
তালের পাখার বাতাস তোমায় বাবা করি,
শান্ত হয়ে থাকো বাবা একটু নাহি নড়ি।
তোমার জন্য বালতি ভরে পানি এনে রাখি,
তোমায় বাবা গোসল করাই তোমার দেখি হাসি।
সবার উপর বাবার স্থান, অন্য কারো নাই,
তবুও যেন কেন বাবা তোমাকে হারাই,
তোমায় বাবা সুন্দর এ ভূবনে হারাই,
বাবা তোমায় কোনো দিন আর নাহি পাই।
কাহারো (কারো) বাবা বেঁচে আছে, কাহারো (কারো) বাবা নাই,
আল্লার কাছে দোয়া করি, মালিক দেবেন ঠাই।
তোমার লাগি কাঁদি বাবা, তোমায় নাহি পাই,
সারা জীবন কেঁদে কেঁদে এতিম হয়ে রই।
কাজী নাসিরুল ইসলাম
পুলিশ পরিদর্শক
রেঞ্জ অফিস, ঢাকা
0 Comments