মোঃ এনায়েত করিম
১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে দৃশ্যত মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এরপর নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দুই লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমহানি এবং ৩০ লক্ষাধিক মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাকিস্তানিদের পরাজিত করে বাঙালিরা বিজয় অর্জন করে। কার্যত এই স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য গোপন প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল তারও প্রায় এক দশক আগে।
পুলিশ বাহিনীর অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তারও সমর্থন ছিল বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলনে। তাঁদের অনেকের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছিল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগ। তাঁরা বিশ্বাস করতেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই দেশের স্বাধিকার বা স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব। ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ’৭১ সালের মার্চে অসহযোগ আন্দোলন ও প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পূর্বাপর উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তার পাকিস্তান বিরোধী ভূমিকা, মুক্তিপাগল জনগণকে সহযোগিতা এবং স্বাধীনতার জন্য জীবন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় তাঁরা কত বড় দেশপ্রেমিক বাঙালি ছিলেন। এঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন চট্টগ্রামের তৎকালীন পুলিশ সুপার শহীদ এম শামসুল হক, দুর্নীতি দমন বিভাগের উপপরিচালক নাজমুল হক, দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের রেঞ্জ ইন্সপেক্টর আকরাম হোসেন ও কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল খালেক। মার্চের অসহযোগ আন্দোলনের সময় বাঙালিদের ওপর বিহারি ও বালুচ রেজিমেন্টের সৈন্যদের নির্যাতন-হত্যা থেকে রক্ষা, বিভিন্ন স্থানে বন্দুকের দোকান ও চট্টগ্রাম রাইফেল ক্লাব থেকে অস্ত্র নিয়ে যেতে ছাত্র নেতাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এসব কর্মকর্তার বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এই চার দেশপ্রেমিককে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এসপি এম শামসুল হক
দেশের গর্ব শহীদ এসপি এম. শামসুল হক ১৫ আগস্ট ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে রাজবাড়ি জেলার খানখানারপুর থানার ধোপাখালী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান পুলিশ বিভাগে (পিএসপি) সহকারী পুলিশ সুপার পদে যোগ দেন। মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৫৯-৬০ সাল পর্যন্ত গভর্নর আযম খানের এডিসি হিসেবে গভর্নর ভবনে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬১ সালে নেত্রকোনায় এসডিপিও (মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি পুলিশ বিভাগে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন শেষে লন্ডন থেকে ফিরে ১৯৬৬ সালের অক্টোবরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলায় এসপি হিসেবে প্রায় তিন বছর চাকরি করেন।
১৯৬৯ সালে উত্তাল গণ-আন্দোলনের মুহূর্তে তিনি সিলেটে এসপি হিসেবে বদলি হন। এ সময় তিনি নেপথ্যে সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কাজ করতে থাকেন। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান ফরিদ গাজীর সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে উঠে এবং গাজীর মাধ্যমে একদিন সরাসরি সাক্ষাৎ ঘটে ইতিহাসের মহানায়ক, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে। সিলেটে এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ’৭০-এর নির্বাচনপূর্ব সময়ে বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে আসার সুবাদে মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। ১৯৭০ সালের ৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের দায়িত্ব নেওয়ার দুই দিন পরই অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগ অভূতপূর্ব বিজয় অর্জনের মাধ্যমে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
১৯৭১ সালের মার্চের শুরুতে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে শামসুল হক লালদীঘিরপাড়স্থ নিজ দপ্তরের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। চট্টগ্রামে তখন অবাঙালি এবং বিহারিদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয়। এই ঘটনায় শতাধিক বাঙালি নিহত এবং দু’শতাধিক লোক আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। বিহারিদের সঙ্গে ছদ্মবেশধারী সশস্ত্র ২০ বেলুচ রেজিমেন্টের সদস্যরা সাধারণ নাগরিকের পোশাকে অংশ নেয় বলে শোনা যায়। সৈন্যরা শতাধিক নিরপরাধ বাঙালিকে ধরে নিয়ে যায়। এসপি শামসুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে সার্কিট হাউস গিয়ে বাঙালি সামরিক প্রশাসক এম আর মজুমদারের সঙ্গে আলোচনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৪৫ জন অবাঙালিকে গ্রেপ্তার করেন। বেলুচ রেজিমেন্ট তখন পুলিশ সুপারের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে বাধ্য হয়। ৩ মার্চের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে মূলত মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ঘটে।
৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতার ডাক দিলে এসপি শামসুল হকও মাতৃভূমি রক্ষার শপথ নিয়ে শামিল হন জনতার কাতারে। চট্টগ্রামে প্রায় সাড়ে চার হাজার পুলিশ সদস্য নিয়ে তিনি জনগণকে উৎসাহ যুগিয়ে মনোবল বৃদ্ধি করেন। ২১ মার্চ চট্টগ্রামের অস্ত্রের দোকানগুলো থেকে অস্ত্র নিয়ে তা ছাত্রনেতাদের হাতে তুলে দেয়া হয় হানাদারদের কবল থেকে দেশকে রক্ষার জন্য। ২৫ মার্চ নিজের নিয়ন্ত্রণাধীন বৃহত্তর চট্টগ্রামের পুলিশ সদস্যদের সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলে সেই ঘোষণা বার্তা দ্রুত চট্টগ্রামে পৌঁছে। এসপি শামসুল হক ওয়ারল্যাসযোগে আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরীকে এবং টেলিফোনে রায়নগর থানার ওসি আব্দুল মান্নানকে বার্তাটি পাঠান। এসপি’র নির্দেশে ওসি ম্যাসেজটি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম থানার ওসি মি. মুখার্জীর হাতে বুঝিয়ে দেন এবং বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বার্তাটি ত্রিপুরা, কলকাতা হয়ে দিল্লিতে পৌঁছানোর অনুরোধ জানান।
২৭ মার্চ পুলিশ সুপার ও অন্য অফিসারদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বাঙালি পুলিশ ফোর্সকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে ইপিআর বাহিনীর সঙ্গে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। ২৮ মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দামপাড়া জেলা পুলিশ লাইন্স আক্রমণ করে। বীর পুলিশ সদস্যরা অস্ত্রেশস্ত্রে সুসজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মরণপণ যুদ্ধ করে দেশের জন্য অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেন। এতে ৫১ জন পুলিশ সদস্য শহীদ হন। এ সময় এক জন মেজরসহ সাত জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়।
৭ এপ্রিল শত্রু বাহিনী এসপি এম. শামসুল হকের সহযোদ্ধা দুর্নীতি দমন বিভাগের উপপরিচালক নাজমুল হক পিপিএমকে হত্যা করে। এতসব ঘটনার পরও এসপি শামসুল হক পালিয়ে না গিয়ে বরং পুলিশ সদস্যদের নিয়ে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান গড়ে তোলেন।
এরই মধ্যে অন্যান্য বাহিনীর লোকজন শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। শামসুল হক এনায়েত বাজার এলাকায় তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান নেন। ১৫ এপ্রিল সকাল বেলা বাঙালি অফিসার (ডিআইজি, চট্টগ্রাম রেঞ্জ) এস এ মাহমুদসহ কিছু অবাঙালি, শত্রু বাহিনীর গাড়ি বহর নিয়ে ওই বাড়িতে আসেন। শামসুল হককে চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য ডিআইজি এস এ মাহমুদ অনুরোধ করেন এবং মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সার্কিট হাউসে নিয়ে যান। ১৭ এপ্রিল সার্কিট হাউজ থেকে ইন্টারোগেশন অফিসে যাওয়ার পথে তিনি তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সংক্রান্তে জামাল উদ্দিন সম্পাদিত মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম শহর বইয়ের ২০৯ পাতা থেকে তুলে ধরছি-
‘পকেটে থাকা মাত্র ৫০টি টাকা স্ত্রীর হাতে দিয়ে বললেন, আমার হাতে আর কোনো টাকা নেই। তোমরা একটু কস্ট করে চলো। এই বলে শত্রুসেনাদের সাথে বাসা থেকে বের হয়ে গাড়িতে চড়লেন। স্ত্রী মাহমুদা হক তার পর থেকে স্বামীর কোন খবর পাচ্ছিলেন না।’
আগস্ট মাসের মাঝামাঝির দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে মিসেস মাহমুদা হক একখানা চিঠি পান, যাতে লেখা-‘আপনার স্বামী এপ্রিল, ১৯৭১-এ মারা গেছেন।’ পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন সূত্রে খবর নিয়ে জানতে পারেন ‘১৭ এপ্রিলই শত্রু সেনারা ইন্টারোগেশন সেলে তাঁর স্বামীকে ইলেকট্রিক চেয়ারে বসিয়ে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।’
অন্য এক তথ্যে জানা গেছে, চট্টগ্রাম পুলিশ লাইন ছাড়াও টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, স্টেট ব্যাংক, বেতার ভবন, বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে পাকিস্তান সৈন্যবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে যে অগণিত পুলিশ শহীদ হয়েছেন তার মধ্যে ৮১ জনের নাম পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনের প্রথম গেইটে ঢোকার সময় স্মৃতিস্তম্ভের দিকে তাকাতেই এই ৮১ জন শহীদ পুলিশ সদস্যের নাম চোখে পড়ে। এর শীর্ষ স্থানে রয়েছে শহীদ এম শামসুল হকের নাম।
জানা যায়, চট্টগ্রামে নির্বাচনের আগে গোলোযোগ সৃষ্টির জন্য ফজলুল কাদের চৌধুরী চট্টগ্রামের উপকণ্ঠে একটি সংখ্যালঘু গ্রামে গন্ডগোল সৃষ্টি করে। চট্টগ্রামের তদানীন্তন এসপি’র নিষ্ক্রিয়তার ফলে ব্যাপারটি সংঘটিত হতে পেরেছিল। ফলে তাঁকে বদলি করে শামসুল হককে নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে চট্টগ্রামের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ঠিক ওই সময়ে বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামের উপকণ্ঠে উপদ্রুত অঞ্চল পরিদর্শনে যান, একই সময়ে তাঁকে হত্যার এক ষড়যন্ত্র করা হয়। কিন্তু এসপি শামসুল হকের বিচক্ষণতায় সেই ষড়যন্ত্র সফল হয় নি। অন্যদিকে শামসুল হক পড়েন পাকিস্তানি সামরিক চক্রের শ্যেন দৃষ্টিতে। ২৬ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে বাঙালি যোদ্ধাদের স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম শুরু হলে তাতে বাঙালি সৈনিক ও ইপিআর এর পাশাপাশি পুলিশ বাহিনী দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এই প্রতিরোধে শামসুল হকের ভূমিকা ছিল অভাবনীয়। ২৮ মার্চ পাকিস্তান বাহিনী তাঁর বাংলো আক্রমণ করলে তিনি বাড়ির পেছন দিয়ে বেরিয়ে যান এবং একটি গাড়ি এসে তাঁকে নিয়ে যায়। ২৯ মার্চ থেকে তিনি তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করেছিলেন। পরে সামরিক কর্তৃপক্ষ স্থানীয় ডিআইজির সহায়তায় তাঁকে খুঁজে বের করে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে নিয়ে যায়।
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ইদরিস আলম তার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘২৫ মার্চের পর কোতোয়ালীর ওসি খালেক সাহেবকে হানাদার বাহিনী গুলি করে মেরে জিপের পেছনে তাঁর লাশ বেঁধে সারা শহর ঘোরায়। শামসুল হক সাহেবকে সার্কিট হাউসে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে তাঁর লাশ গুম করে ফেলা হয়। তাঁর স্ত্রী ছিলেন আমাদের সিটি কলেজের অধ্যাপিকা। এই সময়ে আমি ছিলাম ছাত্র সংসদের সম্পাদক। ফলে, স্বামী-স্ত্রী দু’জনের সঙ্গেই হৃদ্যতা ছিল। বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করার পর শামসুল হক সাহেবের স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর সেক্রেটারিয়েটে নিয়োগ দেন’। ….(চলবে)…..
তথ্যসূত্রঃ
১। দৈনিক আজাদী
২। মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম শহর, জামাল উদ্দিন সম্পাদিত, বলাকা প্রকাশন, ২০১৩, চট্টগ্রাম
৩। বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এর প্রদর্শনী দেয়ালিকা
লেখক : অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর