‘সবচেয়ে যে শেষে এসেছিল
সেই গিয়েছে সবার আগে সরে
ছো৭ যে জন ছিল রে সবচেয়ে
সেই দিয়েছে সকল শূন্য করে’
কবি সত্যেন্দুনাথ দত্তের ছিন্ন মুকুল কবিতার ভাবার্থ যেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল এর জীবনে মূর্ত হয়ে উঠেছে। ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর যে ছোট্ট শিশুটি সবার শেষে ভুবন আলো করে পৃথিবীতে এসেছিল সবার আগে সেই শিশুটিকেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট চলে যেতে হবে এ কথা কেউ কি ভাবতে পেরেছিল! ঘাতকের বুলেট স্তব্ধ করে দিয়েছে তার দুরন্ত পথচলা। কত দীর্ঘ সময়, কেমন দ্রুতই চলে যায়, আবার কেমন যেন আটকে থাকে ঠিক সেই একই জায়গায়। ৪৬টা বছরের পার্থক্যই শুধু। এই ৪৬ বছরে অবশ্য পাল্টে গেছে পৃথিবীর অনেক কিছুই, মুছে গেছে রাসেলের গা থেকে চুইয়ে পড়া তাজা রক্তের দাগ। তবুও কেন যেন মনে হয় রাসেল আজও আছে, এইতো বাতাসে ভাসছে তার অকৃতিম হাসি। এত সুন্দর ফুটফুটে একটা ছেলেকে, যার বয়স নাকি মাত্র ১০ বছর, তাকে মানুষ কেমন করে খুন করতে পারে? খুনিরা মনে হয় জানোয়ারই হয়। যে রাসেল বুঝত না রাজনীতির কিছুই, তাকেই কী না হতে হলো রাজনীতির বলি!
যে শিশুটি জন্মের সময় তার পিতাকে কাছে পায়নি। যে শিশুটি হায়নাদের হিংস্রতা থেকে রেহাই পেতে তার মায়ের বুকে আশ্রয় খুঁজেছিল;
সেই শিশুটিকে নরঘাতকের দল বুাশ ফায়ারে খুন করেছে। পরিবারের অধিকাংশ সদস্যর সাথে সেদিন শাহাদাৎ বরণ করে শিশু রাসেলও। কী অপরাধ ছিল রাসেলের? শিশু হত্যা নিষিদ্ধ পৃথিবীর সকল আইনে। এমনকি সকল ধর্মেও। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, ‘দুনিয়া ধ্বংস করে
দেওয়ার চেয়ে আল্লাহর কাছে ঘৃণিত কাজ হলো মানুষ হত্যা করা। সেই শিশু হত্যাকারীদের আমরা ধিক্কার জানাই। নিন্দা জানাই। শেখ রাসেলের জন্মদিনে আমরা প্রাণের অর্ঘ্য দিয়ে স্মরণ করি তাকে পরম মমতায়।
0 Comments