স্বপ্নযাত্রার অগ্রনায়ক
ড. বেনজীর আহমেদ এর বর্ষপূর্তি
করোনা অতিমারীর ভয়াবহ ক্রান্তিকালে ১৫ এপ্রিল ২০২০ খ্রী. দুঃসাহসী নাবিক সিন্দাবাদের মতোই নির্ভিকচিত্তে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)।দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি সর্বস্তরের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে জনগণের প্রতি বাড়িয়ে দেন মানবিকতার হাত।মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছে দেয়া, আক্রান্তরোগীকে হাসপাতালে পৌঁছানো, কোয়ারেন্টাইন, লকডাউন বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে দাফন-কাফন-সৎকার করার মাধ্যমে পুলিশ হয়ে উঠে জনতার পুলিশ। কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় পুলিশ বাহিনীর মানবিক ভূমিকা আজ দেশে বিদেশে প্রশংসিত।করোনাকালে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে পিছপা হয়নি বাংলাদেশ পুলিশ।করোনা দূর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক দমনসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ভিশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনে দৃপ্তপদভারে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।তিনি আইজিপি’র দায়িত্ব নেয়ার পরই স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক পুলিশি ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে ঘোষণা করেন পাঁচ মূলনীতি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, মাদক নির্মূল, অমানবিক ও অপেশাদার আচরণ বন্ধ করা ও পুলিশের সার্বিক কল্যাণ এ পাঁচ বিষয় যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য তিনি সকল পুলিশ অফিসার ও ফোর্সকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। ১৫ এপ্রিল ২০২১ বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শকের কার্যকালের এক বছরপূর্তিতে দেশবাসীর প্রত্যাশা মাননীয় মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশ হয়ে উঠবে একবিংশ শতাব্দির আধুনিক পুলিশ।
শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম আর সংহতির দিন পহেলা মে।বস্তুত মে দিবসের পথ ধরেই শ্রমিকদের অধিকার অর্জিত হয়েছে।তাদের শ্রমের মর্যাদা পেয়েছে গুরুত্ব। মে দিবসের শতাধিক বছরের ইতিহাসে শ্রমিক আন্দোলন অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে আইএলও কনভেনশনসহ শ্রমিকদের কল্যাণে বহুবিধ ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে।উন্নত দেশে শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি কাজের পরিবেশ উন্নত হলেও অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোর শ্রমিক শ্রেণির কাজের পরিবেশ আশানুরূপ উন্নত হয়নি। তবে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বহুবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।এবার মে দিবস এসেছে এমন এক সময়ে, যখন সারা বিশ্বের মানুষ মহামারী করোনাভাইরাসের বিস্তার ও সংক্রমণের ঝুঁকিতে।সাধারণ ছুটি বা-লকডাউনের’ কারণে কলকারখানাসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শ্রমিক, রিকশাওয়ালা, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষের আয়-রোজগারের পথ হয়ে পড়েছে রুদ্ধ।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে ৩৬ লাখ নিম্মআয়ের মানুষকে আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।শ্রমিক শ্রেণীর জীবন জীবিকার স্বার্থে চালু রাখা হয়েছে কল কারখানা ও গার্মেন্টস। সরকারের পক্ষ থেকে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে প্রয়োজনীয় সহায়তা গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে।
করোনা অতিমারীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও কালের প্রবাহে মাহে রমজান শেষে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসছে ঈদুল ফিতর। এ দিন ধনী-নির্ধণ সকলের ঘরেই উচ্চারিত হবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গান-রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ। ডিটেকটিভের পাঠক, শুভানুধ্যায়ী, বিজ্ঞাপনদাতাসহ দেশবাসীকে জানাই ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা।
0 Comments