ডিটেকটিভ ডেস্ক
সুস্থ ও মানসিক প্রশান্তিতে বেডরুমের রং!
বেডরুমের রং নির্বাচনে সবাই রুচির প্রমাণ দেন। কারণ ওটাই আপনার একান্তই বিশ্রামের জায়গা। ওখানেই আপনি আপনার মতো করে থাকতে পারেন। বেডরুমের রং মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন। সমীক্ষা বলছে বেডরুমের রং যৌনতাকেও প্রভাবিত করে। প্রায় ২ হাজার ব্রিটিশ দম্পতিকে নিয়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছেন একটি সংস্থা। প্রতি সপ্তাহে ‘ইন্টিমেট এনকাউন্টার’ পরিমাপ করে তারা। দেখা যায়, বেডরুমের বিভিন্ন রং মানসিক অবস্থার উপর বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। যৌনতা তো বটেই, স্বাস্থ্য ও ঘুমের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে বেডরুমের রং।
নীল
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষকে ঘুমোতে নীল রঙ খুব সাহায্য করে। বেডরুমের দেয়ালে নীল রং করলে মস্তিস্ক হালকা হয়। আর সেই কারণেই ঘুম হয় ভালো। বেডরুমে নীল রং করলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে। হৃদরোগের প্রবণতাও কমে যায়।
হলুদ
নীলের পরেই তালিকায় রয়েছে হলুদ রঙ। যেসব দম্পতিরা এই রং পছন্দ করেন, তারা বিশ্রামটাকে বেশিই প্রাধান্য দেন। রাতে গড়ে সাত ঘণ্টা ৪০ মিনিট ঘুমান তাঁরা। হলুদ রং দেহকে আরাম দেয়। ফলে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
ধূসর
চাঁদের আলোর অনুভূতি এনে দেয় ধূসর রং। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রং ঘরে করা হলে ঘুম ভালো হয়। প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা ঘুমায় মানুষ। যারা ঘরে এই রং করে, তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে অনুশীলন করতেও তাঁরা ক্লান্তি অনুভব করেন না।
বেগুনি
বেগুনি রং লাক্সারি, সম্পদ আর রাজকীয়তার প্রতীক। স্বাস্থ্য তো বটেই এই রং যাদের বেডরুমে থাকে, তারা মানসিক ভাবে ভালো থাকে। এবং তাদের দাম্পত্য জীবন আরও সুখের হয়।
যেভাবে সাজাবেন বুক শেলফ
কম বেশি বই নেই এমন বাড়ি মেলা ভার। এত বই রাখবেন কোথায়? এর উত্তর, জামা-কাপড় রাখার স্টোরেজ যেমন ক্যাবিনেট বা আলমারি, তেমনই বইয়ের স্টোরেজ হল বুক শেলফ। তবে পছন্দ হল আর বুক শেলফ কিনে নিলাম তা নয়। বুক শেলফ দিয়ে ঘর সাজাবেন নাকি সেটা ঘরের অন্য আসবাবের সঙ্গে সাযুজ্য রাখবেন সেটা আগে দেখে নিতে হবে। কিন্তু বুক শেলফ যেমনই হোক, এই শেলফে বই সাজানো আর তার যতœ নেওয়ার ব্যাপারটা কিন্তু তার ডিজাইনের উপর নির্ভর করছে না।
আসলে বই সাজানো ও তার যতেœর উপর আপনার ঘরের সৌন্দর্য নির্ভর করে। এবার শুরু করা যাক বই সাজানো দিয়ে। বুক শেলফে এমনভাবে বই সাজাবেন যাতে যে কোনও বই খুব সহজেই আপনি খুঁজে পেতে পারেন। এর জন্য প্রথমেই আপনার বুক শেলফে যত বই রয়েছে সব নামিয়ে ফেলুন। এরপর বেছে ফেলুন সেই বইগুলো। মানে, যেগুলো আপনার খুব নিকটবর্তী সময় আর প্রয়োজন নেই। ভালো করে সেগুলো একটা বক্স-এর মধ্যে প্যাক করে রাখুন। হয়তো এমন বক্স সংখ্যায় তিন চারটা হবে।
সেই বইগুলো আর শেলফে থাকবে না। এর বাইরেও এমন অনেক বই আছে যেগুলো আপনার প্রয়োজন নেই। সেগুলো আলাদা করে কাউকে দিয়ে দিতে পারেন। এর ফলে দেখবেন আপনার বুক শেলফে বইয়ের সংখ্যা বেশ সীমিত হয়ে পড়ছে। আর অল্প সংখ্যক বই গুছিয়ে ফেলা খুবি সহজ।
এরপর আসা যাক অন্য প্রসঙ্গে। লেখক, বিষয় বা বইয়ের নামের আদ্যক্ষর যা মিলিয়ে একটা তাকে আপনার পছন্দ মতো বইগুলো সাজিয়ে ফেলুন। এরপর যেটা মাথায় রাখবেন সেটা বইয়ের উচ্চতা বা বইয়ের প্রচ্ছদের রঙ। এর মাঝে একটা ভাগ করতে পারেন পড়া হয়েছে এমন বই আর পড়া হয়নি এমন বই।
এভাবে ক্যাটাগরাইজ করে বইগুলো সাজিয়ে দিন বুক শেলফে। ভারি বই তাকের তলার দিকে রাখুন। খেয়াল রাখবেন বইয়ের স্পাইন যেন বাইরের দিকে থাকে। এবার সাজানো তো হল। তবে গোটাটাই যদি বই জায়গা করে নেয় সেটা অনেকটা ম্যারম্যারে লাগতে পারে। তাই বুক শেলফের কাছাকাছি রাখুন বাহারি টেবল ল্যাম্প বা বাহারি ইন্ডোরপ্ল্যান্ট। সবটা মিলিয়ে হয়ে উঠবে আকর্ষণীয়। তবে খেয়াল রাখবেন এই ধরনের সাজগোজে কিন্তু যতœ নিত্যদিনের প্রয়োজন হয়।
গরমে শিশুর যত্ন
গরমে বড়দের থেকে শিশুদের বেশি কষ্ট হয়। গরমে শিশুরাই বেশি ঘেমে যায়। তাই এই সময় বাবা-মায়েরা শিশুদের নিয়ে একটু বেশিই চিন্তিত থাকে। আর গরমে শিশুরাই বেশি অসুস্থ হয়ে যায়। এ কারণে গরমে ছোট সোনামণিদের বিশেষ যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। তাদের খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই খেয়াল রাখতে হবে।
এই গরমে কি কি উপায়ে শিশুর সঠিক পরিচর্যা করা সম্ভব তা একুশে টিভি অনলাইনে দেওয়া হলো-
শিশুর খাদ্য-
গরমে শিশুদের খাদ্য তালিকায় হালকা, পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার রাখতে হবে। সেটা হতে হবে অবশ্যই নরম খাবার। তবে খেয়াল রাখতে হবে গরমে শিশুদের খাবার যাতে বাইরের না হয়। ঘরেই সহজপাচ্য খাবার বানিয়ে শিশুকে খাওয়ান। গরমের দিন মাছ-মাংস একটু কম করেই খাওয়ানো উচিত।
গরমে শিশুকে যথেষ্ট পরিমাণে ঠাণ্ডা পানি পান করান। কেননা এ সময় শিশুরা খুবই ঘেমে যায়। এতে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ঝরে যায়। তবে খেয়াল রাখবেন পানি যেন ফ্রিজের না হয়। এছাড়া গরমকালে বিভিন্ন রসালো ফল পাওয়া যায়। শিশুদের অবশ্যই গরমে এসব ফল খাওয়াবেন। ফলের জুসও খাওয়াতে পারেন।
শিশুদের পোশাক-
গরমে আপনার শিশুর পোশাকের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। গরমের দিনগুলোতে শিশুকে সুতির নরম ও পাতলা পোশাক পরান। হাতা কাটা পোশাক পরানো প্রয়োজন। ডিসপোজেবল ন্যাপির পরিবর্তে সুতির পাতলা কাপড়ের ন্যাপি পরানো ভালো। কেননা ডিসপোজেবল ন্যাপিগুলো ঘাম ও তাপ শোষণ করতে পারে না তাই র্যাশ, ঘামাচি প্রভৃতি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নিয়মিত গোসল-
গরমে শিশুদের খুব দ্রুত র্যাশ ও ঘামাচি উঠে। তাই গরমের দিনে শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। গোসলের সময় ভাঁজযুক্ত জায়গা যত্ন সহকারে পরিষ্কার করতে হবে। গোসলের পানিতে ডেটলও দিতে পারেন।
শিশুর চুলের যত্ন
এই গরমে আদরের ছোট্ট সোনামণির চুলের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। গরমে শিশুর বেশিরভাগ চুলের গোড়া ঘেমে যায়। এতে মাথায় খুশকি ও ঘামাচি বের হয়। তাই গরমের শুরুতেই শিশুর চুল ছোট রাখতে হবে। ন্যাড়া করে দিলে আরও ভালো হয়।
শিশুর আবাসস্থল
গরমে শিশুকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য ঘরে যেন প্রচুর আলো-বাতাস ঢুকতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। দম বন্ধ করা ঘরে রাখলে শিশু অসুস্থ হয়ে যাবে। তাই বলে ঠাণ্ডার জন্য এসি ব্যবহার করা যাবে না। মাঝে মাঝে আপনার শিশুকে বারান্দায় নিয়ে যাবেন।
শিশুর প্রসাধনী-
গরমে শিশুকে গোসলের পর তেল, লোশন প্রভৃতি প্রসাধনীর ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। শিশুকে গোসল করানোর পর শরীর শুকিয়ে আসলে গলা, পায়ের ভাঁজে ইত্যাদিতে পাউডার ব্যবহার করুন। এতে ঘামাচি ওঠা রোধ করবে।
শিশুর স্বাস্থ্য-
শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। শিশুর সুস্থতার জন্য ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। কোন রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
বাড়ি থেকে পোকামাকড় দূর করে যেসব গাছ
শীত বা গ্রীষ্ম অথবা বর্ষাকাল, পোকামাকড়ের অত্যাচারে বাড়িতে টেকাই দায়। পোকামাকড়ের ঘেনঘেনানিতে ভুগতে হয় সবাইকে। মশার কারণে জ্বর, এছাড়া বিভিন্ন পোকামাকড়ের কারণে আমাদের বিভিন্ন রোগ দেখা যায়। অনেক চেষ্টা করেও বাড়ি থেকে কিছুতেই পোকামাকড়ের উপদ্রব কমাতে পারছেন না? তাহলে জেনে নিন, বাড়িতে কোন কোন গাছ পুঁতলে পোকামাকড় আপনার ধারেকাছেও ঘেঁষবে না।
*গাঁদা ফুলের গাছ : শীতকাল আসলে অনেকেই বাড়িতে গাঁদা ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকে। গাঁদা ফুল দিয়ে ঘর সাজায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনে ফুলের চাহিদা মেটাতেও গাঁদা ফুল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আপনার যদি মনে হয় যে, গাঁদা ফুল শুধুমাত্র সৌন্দর্যের কারণেই ব্যবহার করা হয়, তাহলে ভুল ভাবছেন। গাঁদা ফুল গাছের উপকারিতা অনেক। এই গাছে এমন কিছু উপাদান থাকে, যার ফলে এই গাছের কাছে মশা এবং অন্যান্য পোকামাকড় আসতে পারে না। তাহলে বাড়ি থেকে মশা এবং অন্যান্য পোকামাকড় দূর করতে অবশ্যই গাঁদা গাছ বসান।
*বেসিল পাতা : খাবারে স্বাদ বাড়াতে আমরা বেসিল পাতা ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু শুধুমাত্র খাবারের স্বাদ বাড়ানোই নয়, মশা-মাছি দূর করতেও সাহায্য করে এই গাছ।
*পুদিনা পাতা : পুদিনা পাতা খাবারের স্বাধ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে হজমেও সহায়তা করে। কিন্তু খাবারের বাইরেও এর আরও অনেক গুণাগুণ রয়েছে। পুদিনা পাতার গন্ধ মশা দূর করতে সাহায্য করে।
0 Comments