ই-পেপার

ইমদাদুল হক মিলন

(… পূর্বে প্রকাশের পর)

রেজা আজ বাড়ি ফিরলেন বিকেলবেলা।

গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত হেঁটে গেলেন সিঁড়ির দিকে। সিঁড়ি ভেঙে উপরে মাত্র উঠেছেন, কিচেন থেকে বেরিয়ে ডাইনিংস্পেসের দিকে আসছিল বুয়া, রেজাকে দেখে থতমত খেল।

বেডরুমের দিকে পা বাড়িয়েছেন রেজা, বুয়া বলল, চা নাশতা দিমু?

দুজনকেই দিও।

দুইজনরে কেমনে দিমু? বেগম সাবে তো নাই।

রেজা ঘুরে দাঁড়ালেন।  কপালে দুতিনটা ভাঁজ পড়ল তাঁর। নেই মানে?

সে তো বাড়িতে নাই!

কোথায় গেছে?

কইতে পারি না।

কখন গেছে?

দুপুরের পর।

চোখ ছোট করে, সন্দেহের গলায় নিজের কাছে নিজে বলার মতো করে রেজা বললেন, আমাকে বলল কোথাও যাবে না, তারপর গেল!

তারপরই বুয়ার দিকে তাকালেন। আচ্ছা ঠিক আছে। এখন আর চা দেয়ার দরকার নেই।

তয় কখন দিমু?

সে আসুক।

রেজা এসে বেডরুমে ঢুকলেন। অফিসের জামা কাপড় বদলালেন না। বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে মোবাইলের বাটন পুশ করতে লাগলেন।

রুবা ফোন ধরল। হ্যাঁ, বলো।

তুমি কোথায়?

এই তো আসছি। গাড়িতে।

গিয়েছিলে কোথায়?

বাইরে একটু কাজ ছিল।

কী কাজ?

আরে! কত রকমের কাজ থাকতে পারে। তুমি আসবে কখন?

কোথায় আসবো?

বাড়িতে?

আমি বাড়িতেই।

মানে?

বাড়িতে চলে আসছি।

তাই নাকি?

হ্যাঁ।

এত তাড়াতাড়ি?

ইচ্ছা হলো, চলে এলাম।

রুবা গম্ভীর হলো। আমি বুঝেছি।

কী বুঝেছো। 

দেখতে আসছো আমি বাড়িতে আছি কী নেই?

আরে না!

আমি বুঝেছি। আচ্ছা তোমার এই স্বভাবটা…

কথা শেষ করল না রুবা। ড্রাইভার আছে। সে নিশ্চয় শুনতে পাবে।

রুবা কথা ঘুরালো। ঠিক আছে, আমি আসছি। এলে কথা বলবো।

বাড়ি এসে খুবই বিরক্তমুখে বেডরুমে ঢুকল রুবা। রেজা তখনও অফিসের পোশাকে আগের ভঙ্গিতে শুয়ে আছেন।

রুবা বলল, তোমার ব্যাপারটা কী?

রেজা নড়লেন না। কী ব্যাপার?

বিকেলবেলা বাড়ি চলে আসছো?

আসতে পারি না?

নিশ্চয় পারো।

তাহলে?

তোমার আজকের এই আসার অন্য অর্থ আছে।

কী অর্থ?

সকাল থেকে বার বার জিজ্ঞেস করেছো, আমি কোথাও যাচ্ছি কী না! কিছুক্ষণ আগে ফোন করলে!

তাতে কী হয়েছে?

কী হয়েছে সেটা তুমি জানো। এই বয়সে এসব কী? এত সন্দেহ…

আমার সন্দেহটাই তো প্রমাণিত হলো।

কী প্রমাণিত হলো?

বাইরে তো তুমি গেলেই?

দরকার হলে যাবো না?

তাতো যাবেই।

তাহলে? সব তোমাকে বলে করতে হবে?

রেজা এবার উঠে বসলেন। রুবাকে ম্যানেজ করার গলায় বললেন, আরে না না, তা কেন করতে হবে। মানে আমি বাড়ি এলাম তোমার সঙ্গে কথা বলার জন্য।

কী কথা?

জরুরি কথাই। এসে আমি দেখি তুমি নেই। তাই মেজাজটা একটু…

রুবা তখনও গম্ভীর। হঠাৎ কী এমন জরুরি কথা?

ছেলেদের ব্যাপারে।

ছেলেদের আবার কী হলো?

না নতুন করে কিছু হয়নি।

তাহলে?

অপুকে আমি ফোন করেছিলাম।

কী বলল সে?

বুয়াকে বলো চা দিতে, খেতে খেতে বলি।

আমাকে দেখে বুয়া নিশ্চয় এতক্ষণে চা রেডি করে ফেলেছে। চলো, টেবিলে চলো।

দুজন এসে ডাইনিংটেবিলে বসলো। ঠিক তখুনি চায়ের সরঞ্জাম টেবিলে এনে রাখল বুয়া। তার আগেই বিকেলের নাশতা রেখে গেছে। ফ্রেঞ্চটোস্ট আর পাপড় ভাঁজা।

রুবা ফ্রেঞ্চটোস্ট নিল। অপুর সঙ্গে কী কথা হলো?

রেজার হাতেও ফ্রেঞ্চটোস্ট। এককামড় খেয়ে বললেন, দুই ভাইয়ে প্রায়ই এরকম খিটিমিটি লাগছে, আমি চাচ্ছি ওরা আলাদা হয়ে যাক।

রুবা মাত্র টোস্টে কামড় দেবে, থেমে গেল। মানে?

মানে দুজনেই ডর্মে থাকবে।

আলাদা আলাদা?

হ্যাঁ।

এখন দুরুমের এপার্টম্যান্টে আছে, তাতে অসুবিধা কী?

দুজনই বড় হয়েছে। ইগো প্রবলেম হচ্ছে।

কী রকম?

অপুর কথা দিপু শুনতেই চায় না।

এজন্য তার গায়ে হাত তুলবে?

রুবা ফ্রেঞ্চটোস্টে কামড় দিল। অপু এই স্বভাবটা পেয়েছে তোমার কাছ থেকে।

আমার গায়ে হাত তোলার অভ্যাস নেই। কাউকে সন্দেহ করলে, সন্দেহ প্রমাণিত হলে, রেগে গেলে প্রতিশোধ নেই অন্যভাবে।

তারপর আচমকা বললেন, তুমি আজ কোথায় গিয়েছিলে?

বেডরুমে রুবার মোবাইলটা ঠিক এসময়েই বাজলো। স্বামীর প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ফোন ধরতে চলে গেল রুবা। ফোন ধরে বলল, হ্যালো।

ওপাশে মনজুর গলা। রুবা, আমি।

ও আচ্ছা। বলুন।

না তেমন কিছু না। সন্ধ্যাবেলাটা এত অসহায় লাগে। হাঁটাচলা করতে পারি না, কারও সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। আজ আরও বেশি খারাপ লাগছে। তুমি চলে যাওয়ার পর থেকে…

আমি বুঝেছি।

এজন্য ভাবলাম তোমাকে একটু ফোন করি। তোমার সঙ্গে একটু কথা বলি।

রুবা একটু অসহায় বোধ করল। কিন্তু আমি…, মানে আমি একটু বিজি।

ও আচ্ছা আচ্ছা…

ও আছে তো! আমরা দুজন চা খাচ্ছিলাম।

সরি সরি।

কাল কথা বলি!

ঠিক আছে, ঠিক আছে। কোনও অসুবিধা নেই।

রুবা ফোন হাতে দরজার দিকে ঘুরেছে, দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে রেজা। কে ফোন করল?

রুবা একটু বিব্রতই হলো। ইয়ে, আমার পরিচিত একজন। তোমার চা খাওয়া শেষ?

হ্যাঁ। কিন্তু পরিচিতজনটা কে?

তুমি চিনবে না।

তবু বলো।

কেন?

চেনার চেষ্টা করি।

রুবা আবার গম্ভীর হলো। আজ সকাল থেকে দেখছি আমার ব্যাপারে হঠাৎ করেই যেন তুমি একটু বেশি সন্দেহপ্রবণ হয়ে উঠেছো?

কই?

শুনবার দরকার নেই। ব্যাপারটা কী বলো তো?

আরে না, তেমন কোনও ব্যাপার না।

নিশ্চয় কোনও ঘটনা আছে?

না মানে ওই যে সকালবেলা বললে আমাকে তোমার বাবার মতো দেখায়…

দেখায়ই তো!

তারপর থেকে মনের মধ্যে একটা ভয় ঢুকেছে।

কিসের ভয়?

আজকাল তোমার মতো ফ্রি গৃহবধূরা খুবই পরকীয়াটিয়া করছে।

তাই নাকি?

হ্যাঁ।

আমি ওসব করলে আরও আগেই করতাম।

না না আগে করার টাইম পেতে না।

কেন?

ছেলে দুটো ছিল।

তাতে কী?

তাদের নিয়ে তোমার ব্যস্ততা ছিল।

ওসব ব্যস্ততার ফাঁকেও করা যায়।

তা অবশ্য যায়।

ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।

তাতো বটেই।

রেজা একটু থামলেন। তুমি কিন্তু এখনও বললে না কোথায় গিয়েছিলে?

রুবা আবারও বিরক্ত হলো। রেজার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, বললাম না বাইরে গিয়েছিলাম। দরকার ছিল।

তা বলেছো?

তাহলে? এককথা বার বার বলবে না।

এবারও রেজা একটু রাগলেন। তুমিই বা বলতে চাচ্ছো না কেন? তোমার অসুবিধা কী?

এতবার জিজ্ঞেস করেছো বলে বলছি না।

একটু থামলো রুবা, একটু স্বাভাবিক হলো। শোনো, আমাদের এলাকার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সুন্দর একটা আর্টিক্যাল বেরিয়েছে আজ। পড়ে আমার মনটা এত খারাপ হয়েছে! কোনও কোনও মুক্তিযোদ্ধা যে কী কষ্টে আছে!

রুবাকে এবার একটা ধমকই দিলেন রেজা। রাখো এসব। কে কীভাবে আছে ওসব দিয়ে আমাদের কী যায়-আসে।

স্বামীর ধমকে রুবা একেবারে হতভম্ব। ফ্যাল ফ্যাল করে তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। রুবার মন চলে গেল উনিশশো একাত্তরে। চোখ চলে গেল সেই নির্জন বাড়িতে। যে বাড়ি আসলে বাড়ি না। যে বাড়ি আসলে এক ভগ্নস্তূপ।

তখন অনেকটা রাত।

ভেঙেপড়া দেয়ালে হেলান দিয়ে জুবুথুবু হয়ে বসে আছে কিশোরী রুবা আর মনজু। মাঠের ওদিক থেকে ভেসে আসছে মানুষজনের সাড়া। টর্চের আলো ঘুরে ঘুরে এসে পড়ছে ভেঙেপড়া বাড়িটায়।

তারপর পাওয়া গেল বুটের শব্দ।

ধীরে ধীরে এগোচ্ছে শব্দ।

ধীরে ধীরে এগোচ্ছে।

রুবা ভয়ে আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে গেল। মনজুর দিকে চেপে গিয়ে ফিসফিসে গলায় বলল, ওই যে, ওই যে শব্দ পাওয়া যাচ্ছে! ওই যে ওরা আসছে! ওরা এদিকেই আসছে। আমাদের দুজনকেই মেরে ফেলবে। আমাদের দুজনকেই গুলি করে মেরে ফেলবে।

ঘুটঘুটে অন্ধকারে রুবার মুখ দেখতে পাচ্ছে না মনজু, মনজুর মুখ দেখতে পাচ্ছে না রুবা। রুবার মতো ভয়ে আতঙ্কে মনজুও যে দিশেহারা, তারও যে মুখ শুকিয়ে গেছে, গলা শুকিয়ে কাঠ, কিছুই রুবাকে সে বুঝতে দিল না। ফিসফিসে গলায় তাকে সাহস দিল। শব্দ করো না। চুপচাপ বসে থাকো। কিচ্ছু হবে না। ওরা আমাদের খুঁজে পাবে না।

মনজুর বাহুর কাছে আরও চেপে এলো রুবা। আরও জড়োসড়ো হলো।

বুটের শব্দ তখন ভাঙা বাড়িটায় এসে ঢুকেছে। এদিক ওদিক অবিরাম ঘুরছে টর্চের আলো। দুয়েকবার মনজু আর রুবার খুব কাছ দিয়ে ঘুরে গেল টর্চের আলো। রাজাকারদের ভাঙা ভাঙা উর্দু শোনা যাচ্ছে। নেহি সাব। ইধার কোই নেহি হায়। কোই মুক্তি নেহি হায়।

মিলিটারিদের একজন বলল, ঠিক হায় ঠিক হায়! ওয়াপাস চালো।

তারপর ধীরে ধীরে পায়ের শব্দ মিলিয়ে গেল। টর্চের আলো মিলিয়ে গেল। মনজু একটা স্বস্তির শ্বাস ফেলল। রুবা যে কোন ফাঁকে দুহাতে তাকে জড়িয়ে ধরেছে এতক্ষণ টেরই পায়নি। মিলিটারি আর রাজাকাররা চলে যাওয়ার পর টের পেল। ফিসফিস করে ডাকল, রুবা, রুবা।

রুবা সাড়া দিল না।

মনজু তাকে একটু ধাক্কা দিল। ধাক্কা দিতে গিয়ে হাত লাগল রুবার গলার কাছটায়। মনজু চমকালো। তারপর রুবার গালে কপালে হাত ছোঁয়ালো। সর্বনাশ! প্রচ- জ্বর তো! রুবার তখন আর জ্ঞান নেই। মৃতের মতো ঢলে পড়েছে মনজুর কোলে।

বারেক সেই বিকেল থেকেই উসখুস করছে।

কখন কথাটা জিজ্ঞেস করবে!

ভালো সময় পাওয়া গেল রাতেরবেলা। মনজুর খাওয়ার সময়ে। রাতেরবেলা মনজু ভেজিটেবল স্যুপ, ভেজিটেবল আর আটার রুটি খায়।

আজও এসবই করা হয়েছে।

প্রথমে স্যুপ খাবে মনজু। তাকে তুলে বসিয়েছে বারেক। স্যুপের পেয়ালা রেখেছে ছোট্ট টিপয়ের ওপর। অন্যান্য খাবারও সেখানেই। চেয়ারের পিঠের দিকে রাখা তোয়ালেটা মনজুর বুকের ওপর মেলে দিল বারেক। এভাবে তোয়ালে বিছিয়ে দিলে, স্যুপ গড়িয়ে পড়লেও অসুবিধা নেই।

মনজুর বুকের কাছে বসে তাকে স্যুপ খাওয়াতে লাগল বারেক। প্রথমবার স্যুপ মুখে তুলে দিয়েই বলল, একটা কথা জিজ্ঞাসা করি মামা?

কর।

ভদ্রমহিলা কে?

ও রুবা।

জ্বি। আগে তো কোনওদিন দেখি নাই।

কী করে দেখবি? কখনও আসেনি তো?

কী হয় আপনার?

আমার কোনও আত্মীয় না।

সেইটা আমি বুজছি। আপনের তো আসলে কোনও আত্মীয়ই নাই।

কী বলছিস? রেশমি আছে না?

জ্বি। কিন্তু তারা তো অহন আর দেশে না।

তা না হউক। তবে হ্যাঁ, সেই অর্থে মা বাবা ভাই বোন কেউ নেই।

তেমন কোনও আত্মীয় স্বজনও নাই।

হ্যাঁ। আমি আসলে খুবই হতভাগা টাইপের লোক।

মনজু একটু থামলো। সেই ফাঁকে পর পর দুচামচ স্যুপ তাকে খাওয়ালো বারেক।

মনজু বলল, রুবার সঙ্গে পরিচয় মুক্তিযুদ্ধের সময়।

তাই নাকি? এত আগে?

হ্যাঁ। খুবই বড় পরিবারের মেয়ে।

সেইটা চেহারা দেখলেই বুঝা যায়।

একটু থামলো বারেক। কিন্তু বাড়িঅলার কী করবেন মামা? সে তো কাইল আইসা চিল্লাচিল্লি শুরু করবো।

মনজু খুবই অসহায় বোধ করল। কী করে ম্যানেজ করবো, কিছুই বুঝতে পারছি না।

সঙ্গে সঙ্গে বারেক তাকে সান্ত¡না দিল। থাউক, আপনে টেনশন কইরেন না? টেনশন করলে ডাইবিটিস বাড়বো।

কিন্তু…

বললাম না, আপনে ভাইবেন না। হাজিসাব আসুক, তারপর দেখুম নে।

বারেক কথা ঘুরালো। আগের দোকানটা চাইরলাখ টেকা দিয়া কিনলো হাসেম মিয়া। বলল এইটাও কিনবো।

হ্যাঁ, তাই তো! হাসেম মিয়ার কী হলো?

লোকটার আর খবরই নাই মামা।

তুই একটু খবর নে।

ঠিক আছে নিমু নে।

দরকার হলে কিছু কমে দোকানটা ছেড়ে দে।

সেইটা আমিও ভাবছি। কিন্তু হাসেম মিয়ারই তো খবর নাই। তার ওপর আমরা বেশি আগ্রহ দেখাইলে…

বুঝেছি। দাম আরও কমিয়ে দেবে।

হ।

দিক। তুই হাসেম মিয়ার সঙ্গে কথা বল। নয়তো দুতিনদিন পর বাজার করার টাকা থাকবে না। ইনসুলিন কেনার টাকা থাকবে না।

সেইটা আমি জানি। কিন্তু মামা, এই দোকানটাই তো শেষ সম্পদ। এইটা বিক্রি হইয়া গেলে তারবাদে চলবেন কেমনে?

মনজু উদাস গলায় বলল, ওসব নিয়ে তুই চিন্তা করিস না। অতদিন আমি বাঁচবো না।

একথা শুনে বারেক থতমত খেয়ে গেল। তারপর মনজুকে সাহস দেওয়ার গলায় বলল, ধুরো মামা! কী যে কন!

একটু থামলো বারেক। তারপর বলল, একটা কাম করি মামা।

কী?

আমগ বাড়িঅলারে কই দোকানটা কিনতে।

কিনবে?

কিনতে পারে। এরা কারবারি মানুষ। ওই রকম মার্কেটে সস্তায় দোকান পাইলে কিনা ফালাইতে পারে।

এরকম হলে ভালোই হয়। তার বাড়িভাড়ার টাকা কেটে বাকিটা আমাকে দিয়ে দিল।

হ। কাইল আসলে এই কথাই কমু।

ততক্ষণে স্যুপ খাওয়া শেষ হয়েছে। এবার রুটি সবজি খেতে হবে। মনজু বলল, বারেক, আমার আর খেতে ইচ্ছে করছে না।

কন কী?

হ্যাঁ। পেট ভরে গেছে।

কিন্তু স্যুপ বেশিক্ষণ পেটে থাকবো না। তারপর খিদা লাগবো।

লাগলে তোকে ডাকবো।

আইচ্ছা, ঠিক আছে।

বারেক সবকিছু গুছগাছ করে কিচেনের দিকে চলে গেল। 

…(চলবে)

লেখক : বিশিষ্ট উপন্যাসিক।

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)