কাজী নাসিরুল ইসলাম (প্রিন্স)
লেখক- পুলিশ পরিদর্শক, রেঞ্জ ডিআইজির অফিস, ঢাকা।
‘বঙ্গবন্ধু’ ৭-ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার যুদ্ধের দেয় ডাক,
বাঙালিরা অস্ত্র ধরে বলে, পাক-বাহিনী চলে যাক।
‘জাতির পিতা’ ৭-ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যায়,
জয় বাংলা স্লোগনে পাক বাহিনী ভয় পেয়ে যায়।
এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম যখন বলে,
রণাঙ্গনে যুদ্ধের জন্য বাঙালিরা সাজে দলে দলে।
(যুদ্ধের বছর ১৭ ই এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠন হয়,
মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদ, শেখ মুজিবুর রহমান পায়)।
স্বাধীনতা যুদ্ধে, যে মহান নেতার ছিল বড় অবদান,
(সেঁ যে) বাংলাদেশের ‘স্থপতি’ শেখ মুজিবুর রহমান।
১৭৭১ সালের ২৬ শে মার্চ দিবা,
স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু (হলো) নতুন নামে চিনা।
২৫ শে মার্চ দিবা শেষে রাত্রী বারো টায়।
জ¦ল্লো আগুন, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়।
পাক-বাহিনী আর মুক্তিবাহিনীর সাথে,
স্বাধীনতার দাবিতে, যুদ্ধ শুরু বাংলাদেশের মাঝে।
গুলি চালায় পাঁক-বাহিনী, বাঙালির উপরে।
গুলি লেগে হাজার হাজার বাঙালিরা মরে।
ছাত্র, শ্রমিক, কুলি-মজুর ও মিছিলের উপরে,
ব্রাশ করে বুকের উপর ঝাঁঝরা করে মারে।
পশুদের সাথে মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ নয় মাস,
বাংলাদেশে ভরা ছিল, লাশ আর লাশ।
লাল রক্তের স্রোতে, বাংলাদেশের মাটির উপর দিয়ে,
গড়িয়ে ছিল, ‘লাল রক্ত’ বাংলাদেশের মাটির উপর দিয়ে।
জীবন বাজি রেখে মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ পশুর সাথে,
পড়লো ধরা, খাঁন সেনারা মুক্তিযোদ্ধার হাতে।
স্বাধীন হলো, বাংলাদেশের মাটি, বাংলার মা-ভাই,
স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস স্মরণ করি তাই।
স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ বাঙালির গেলো প্রাণ,
বাংলাদেশর প্রতিষ্ঠা হলো, আর সোনার বাংলা গান।
0 Comments