
মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি ক্রমবর্ধণশীল দেশ। যেখানে সীমিত ভূমিতে প্রায় ১৭ কোটি লোকের বসবাস। ২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে এবং আজ বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নতদেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। আমাদের এই স্বপ্নের কান্ডারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাঁর নেতৃত্বে ইতিমধ্যে এনালগ বাংলাদেশ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করার রোড ম্যাপ ঘোষণা করেন। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। আর বাংলাদেশ পুলিশ হচ্ছে, বাংলাদেশের সমস্ত উন্নয়ন কর্মকান্ড, জীবন ও সম্পদের অতন্দ্র প্রহরী। সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডকে বাংলাদেশ পুলিশ যথাযথ নিরাপত্তা বিধানের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তি এবং সক্ষমতার যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ উন্নত বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবে। তাই আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশে প্রয়োজন জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ পুলিশ।
স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তিসমূহ
একটি গতিশীল সরকার, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একটি শিক্ষিত প্রযুক্তি নির্ভর নাগরিক ও দেশ গঠনই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ ৪টি ভিত্তির উপর গঠিত হবে- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভার্মেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি।
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য বাস্তবায়িত মেগা প্রকল্পসমূহ
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যমতে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৩১.৬ বিলিয়ন ডলার, ২০০০ সালে ৫৩ বিলিয়ন ডলার, ২০১০ সালে ১০২ বিলিয়ন ডলার, ২০২১ সালে বাংলাদেশের জিডিপি দারায় ৪১৬.২৬ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি। ক্ষুধা ও দারিদ্রকে জয় করে বর্তমানে বাংলাদেশ হাজার বিলিয়ন ডলারের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। উন্নত বাংলাদেশের পথে গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্পসমূহ নিম্নরূপ-
পদ্মা বহুমুখী ব্রীজ
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প
ঢাকা এ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লিংক
মেট্রোরেল সার্ভিস
মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প মহেষখালি, কক্সবাজার
মাতারবাড়ি গভীর সুমদ্র বন্দর প্রকল্প মহেষখালি, কক্সবাজার
ঢাকা বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনাল
উপরোক্ত প্রকল্পগুলো অধিকাংশই ২০২৫ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। পদ্মা বহুমুখী ব্রীজ ও মেট্রোরেল ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে সর্বমোট ৪০ টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে, সেই সাথে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর আমদানি নির্ভর জৈব জ্বালানীর নির্ভরশীলতা ব্যাপক ভাবে হ্রাস পাবে। ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুর সড়ক অংশ বাস্তবায়িত হয়েছে এবং রেল অংশের নির্মাণ কাজ গতিশীল রয়েছে। বঙ্গবন্ধু রেল সেতু ইতিমধ্যে ট্রায়াল রান সম্পন্ন করেছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মাণ, পুনঃ নির্মাণ এবং মেরামত চলমান রয়েছে। আগামী এক দশকের মধ্যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে। করোনা মহামারির মধ্যেও এসব মেগা প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উল্লেখিত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হওয়ার পর বাংলাদেশের জিডিপি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে দেশে অর্থনীতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে, যা বাংলাদেশকে উন্নতদেশে পরিণত করতে নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট পুলিশিং
বাংলাদেশ পুলিশ দেশের ১৭ কোটি জনগণের জীবন ও সম্পদের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছে। সময়ের পরিসরে আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে তদন্ত কার্যক্রমে সক্ষমতা বৃদ্ধি, আধুনিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, সময়ের তাগিদে নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠাসহ আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিধানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ কে স্মার্ট পুলিশে রূপান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অনলাইন জিডি
বাংলাদেশ পুলিশের সার্ভিসসমূহের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা হচ্ছে জিডি বা জেনারেল ডায়েরী। সাধারণত যে কোন বিষয়ে জিডি করতে জনগণকে ব্যক্তিগত ভাবে থানায় আসতে হয় এবং জিডির আবেদন দাখিল করতে হয়। এই জিডি প্রক্রিয়ায় কখনো কখনো জনগণ হয়রাণীর অভিযোগ করে। ২০২২ সালে বাংলাদেশের সকল থানার জিডি প্রক্রিয়া অনলাইনে শুরু হয়েছে, যা পুলিশকে স্মার্ট পুলিশে রূপান্তরের একটি বড় পদক্ষেপ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জুন, ২০২২ বাংলাদেশ পুলিশের অনলাইন জিডির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
জনগণের হারানো ও প্রাপ্তি সংক্রান্ত ও জানমালের বিষয়সহ যে কোন বিষয়ে থানা পুলিশের নিকট অভিযোগ করতে এই http://gd.police.gov.bd/ ওয়েব সাইট ব্যবহার করা হয়। অতপর সংশ্লিষ্ট থানা হতে অভিযোগকারীর অভিযোগের ধরন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবগত করা হয়। অভিযোগের বিষয়টি যদি জিডির যোগ্য হয় তাহলে সেটি জিডি নং এবং তদন্তকারী অফিসারের বিবরণীসহ অভিযোগকারীকে ডিজিটাল জিডির কপি প্রেরণ করা হয়। অভিযোগের বিষয়টি যদি মামলার যোগ্য (আমলযোগ্য অপরাধ) হয় সেক্ষেত্রে অভিযোগের প্রিন্ট কপি অথবা অভিযোগের কোড নং সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে থানায় উপস্থিত থাকতে হয়। অনলাইনে অভিযোগ করার জন্য প্রয়োজন : জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, সচল মোবাইল, লাইভ ছবি। অনলাইন জিডি প্রক্রিয়ায় খুব সহজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অভিযোগের তদন্তকারী অফিসারের সহিত অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারবে, সেই সাথে অনলাইনে জিডির কপি ডাউনলোডসহ ডিজিটাল কপি কাউকে প্রেরণ করতে পারবে। নিম্নে প্রক্রিয়াটির গুরূত্বপূর্ণ ধাপ দেখানো হলো-
জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯
বাংলাদেশ পুলিশের সেবা সমূহের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিসেবা হচ্ছে “ জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯” এর ব্যবস্থাপনা। বাংলাদেশ সরকার ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭ এই অতি প্রয়োজনীয় সেবা চালু করে এবং বাংলাদেশ পুলিশকে এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। যে কোন জরুরি মহুর্তে পুলিশী, ফায়ার সার্ভিস এবং হাসপাতাল ও এম্বুলেন্স সেবা পাওয়ার জন্য জনগণ দেশের যে কোন স্থান থেকে যে কোন মোবাইল অপারেটর ও টেলিফোন “৯৯৯” ফ্রিতে কল করতে পারে। বিগত দিনগুলোতে বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে জনগণের বিপদের মহুর্তে এবং জরুরী পরিস্থিতিতে একটি আস্থার নাম “৯৯৯”।
সিডিএমএস এর মাধ্যমে মামলা তদন্ত
বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আমল যোগ্য মামলার তদন্ত পরিচালনা করা। বাংলাদেশ পুলিশ মামলা তদন্ত কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তদন্তে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন নামে একটি পৃথক তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়েছে। যার কার্যক্রম সারা দেশে চলমান রয়েছে। তদন্ত কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য চালু করা হয়েছে Crime Data Management Software (CDMS)। বর্তমানে সকল মামলার তদন্ত সিডিএমএস এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে মামলার তদন্ত কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি পয়েছে এবং মামলা তদন্তের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে।
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধ প্রতিরোধ এবং অপরাধী সনাক্তকরণ
যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে বাংলাদেশ পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করেছে। বর্তমানে মোবাইল নেটওর্য়াক, ইন্টারনেট, টেলিকমিউনিকেশন ও বিভিন্ন সফ্টওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত কার্যক্রমে ব্যবহার করছে। সেই সাথে জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ, অপরাধী সনাক্তকরণ এবং সার্ভিলেন্স কার্যক্রমে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের ইমিগ্রেশন সিস্টেমকে বিশ্বমানের করা হয়েছে। সিআইডিতে স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক ফরেনসিক ল্যাব যেখানে প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত অপরাধী সনাক্ত করা যায়। নাগরিকদের জান ও মালের নিরাপত্তায় সন্ধিগ্ধ ব্যক্তিদের প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারী করা হচ্ছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন ইউনিটে হ্যালো ওসি, হ্যালো এসপি, হ্যালো আরএমপি, হ্যালো সিএমপি, হ্যালো টুরিস্ট পুলিশ ইত্যাদি সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে নাগরিকদের ডিজিটালি পুলিশী সেবা প্রদান করছে।
বাংলাদেশ পুলিশের আধুনিক মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা
বর্তমানে বাংলাদেশে পুলিশে ২ লক্ষের অধিক সদস্য জনগণের নিরাপত্তা বিধানে কর্মরত আছে। বাংলাদেশ পুলিশকে স্মার্ট পুলিশে রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে পুলিশ একাডেমী, পুলিশ স্টাফ কলেজ, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার ও ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার সমূহ বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। পুলিশের গুণগত এবং আচরণগত পরিবর্তনের জন্য সকল স্তরের পুলিশ সদস্যদের জন্য ‘দক্ষতা উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। যার আওতায় ইতিমধ্যে ৩৫ হাজারের অধিক পুলিশ সদস্যদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও তদন্ত কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সিডিআর এ্যানালাইসিস, সিডিএমএস, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংক্রান্তে বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। উন্নত বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সাইবার ক্রাইম ও ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম। এই দুই অপরাধ প্রতিরোধে ইতিমধ্যে সিআইডিসহ মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া দেশের সকল জেলায় আর্থিক ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। নারী ও শিশু সংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধে দেশের সকল থানায় বিশেষ ডেস্ক গঠন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে পুলিশী সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে।
২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। এছাড়াও বাংলাদেশ প্রণয়ন করেছে আগামী শতকের জন্য ডেল্টা প্ল্যান ২১০০। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ তার জনসম্পদ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ডিজিটাল প্রশাসন, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি নির্ভর একটি জাতি গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর সেই উন্নত বাংলাদেশের জীবন ও সম্পদের অতন্দ্র প্রহরী বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের তদন্ত কার্যক্রমে সক্ষমতা বৃদ্ধি, আধুনিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ এবং সময়ের তাগিদে নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ পুলিশকে স্মার্ট পুলিশে রূপান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও ২০৪১ সালের বিশেষ চ্যালেঞ্জ সাইবার ক্রাইম ও ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সাইবার ইন্টেলিজেন্স, বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার এবং আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নের বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ স্মার্ট বাংলাদেশে কাজ করবে স্মার্ট পুলিশ। ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশে স্মার্ট পুলিশ হবে জনতার পুলিশ।
লেখক : কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার),
ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, রাজশাহী