ই-পেপার

নিউজ স্ক্রল

সেই প্রিয় মুখ

ইমদাদুল হক মিলন (… পূর্বে প্রকাশের পর) রেজা একেবারে আঁতকে উঠল, বল কী? হ্যাঁ, শুধু তাই নয়। তোমার সংসারেও আমি আর কখনও ফিরব না। ডিভোর্স করব তোমাকে। হা করে রুবার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন রেজা। রুবা বলল, কিছুই করা হলো না আমার। রেজা গম্ভীর গলায় বলল, কেন? আমার মায়ের জন্য।

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)

সেই প্রিয় মুখ

ইমদাদুল হক মিলন (… পূর্বে প্রকাশের পর) ১২ হায়দার নামে রেজার এক দূরসম্পর্কের ভাই কয়েকদিন ধরে এই বাড়িতে এসে বসে আছে। আজ শেষ বিকেলে হায়দারকে নিয়ে কথা শুরু হলো রেজা এবং রুবার। রেজার মনের ভেতর অন্যপ্রসঙ্গ ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু সেই প্রসঙ্গে সহজে যেতে চাইলেন না তিনি। খুব সূক্ষ্ম একটা চালাকি

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)

সেই প্রিয় মুখ

ইমদাদুল হক মিলন (… পূর্বে প্রকাশের পর) রেজার কথায় গলার থমথমে ভাবটা কেটে গেল জুলেখার। বলল, ঠিক আছে, কী বলবেন বলেন। তুমি হয়তো বুঝতে পারছ আমি কী বলতে চাইছি। জি কিছুটা পারছি। বল তো কী? ভাবির ব্যাপারে। একদম ঠিক বলেছ। তুমি খুবই বুদ্ধিমতি মহিলা। যদিও আজকের আগে এত কথা তোমার

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)

সেই প্রিয় মুখ

ইমদাদুল হক মিলন (… পূর্বে প্রকাশের পর) জুলেখার কথার ধরনটা যেন আজই প্রথম খেয়াল করলেন রেজা। কাজের বুয়াদের ভাষা মনেই হচ্ছে না। একেবারেই তাদের মতো করে কথা বলছে। সাত-আট বছর ধরে তাদের সংসারে আছে। নিশ্চয় শুনতে শুনতে এই ভাষাটা সে শিখেছে। অথবা রুবাও শেখাতে পারে। সব ব্যাপারেই অসম্ভব এক সৌন্দর্যবোধ

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)

সেই প্রিয় মুখ

ইমদাদুল হক মিলন (… পূর্বে প্রকাশের পর) ১০ সমস্যাটা আমি কালই বুঝেছিলাম। লজ্জায় মুখ ম্লান হয়ে আছে মনজুর। রুবার দিকে সে তাকাতেই পারছে না। মাথা নিচু করে কোনও রকমে বলল, না, মানে দোকানটা বিক্রি করতে পারছিলাম না… এসব নিয়ে তুমি আর ভেবো না। এসব আমি দেখছি। ২৭ হাজার টাকা হাজিসাহেবকে

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)

সেই প্রিয় মুখ

ইমদাদুল হক মিলন (… পূর্বে প্রকাশের পর) ৮ রুবার সিটের পাশে পাঁচটা শপিংব্যাগ। বাড়ি থেকে বেরিয়ে ‘আগোরা’য় ঢুকেছিল। মিনিট পনেরোর মধ্যে যা যা কিনতে চেয়েছে কিনে ফেলেছে। আগোরার একটা ছেলে গাড়িতে তুলে দিয়ে গেছে শপিংব্যাগগুলো। বিশ টাকার একটা নোট ছেলেটিকে টিপস দিয়েছে রুবা। তারপর থেকে কী রকম উদাস হয়ে আছে।

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)

আমাদের মানবিক পুলিশ

ইমদাদুল হক মিলন পুলিশ নিয়ে সাধারণ মানুষের নানা রকমের মতামত আছে। সেই সব মতামতের বেশির ভাগই নেগেটিভ ধরনের। পুলিশ অকারণে দুর্ব্যবহার করে, পুলিশ এই করে, সেই করে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এসব ধারণা করোনার শুরুর সময়ে প্রায় রাতারাতি ভেঙে দিল আমাদের পুলিশ বাহিনী। তারা ব্যাপকভাবে মানুষকে সচেতন করার কাজ শুরু করল।

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)

সেই প্রিয় মুখ

ইমদাদুল হক মিলন (… পূর্বে প্রকাশের পর) ৬ রেজা আজ বাড়ি ফিরলেন বিকেলবেলা। গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত হেঁটে গেলেন সিঁড়ির দিকে। সিঁড়ি ভেঙে উপরে মাত্র উঠেছেন, কিচেন থেকে বেরিয়ে ডাইনিংস্পেসের দিকে আসছিল বুয়া, রেজাকে দেখে থতমত খেল। বেডরুমের দিকে পা বাড়িয়েছেন রেজা, বুয়া বলল, চা নাশতা দিমু? দুজনকেই দিও। দুইজনরে

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)

সেই প্রিয় মুখ

ইমদাদুল হক মিলন (… পূর্বে প্রকাশের পর) সকালবেলা প্রথমে খেতে হয় রিমাকটাজিড। দুটো করে। একশো পঞ্চাশ মিলিগ্রাম। ওষুধটা টিবির জন্য। দিনে এই একবারই খেতে হয়। নাশতার পর খেতে হয় রেনিট। এটাও ১৫০ এমজি। এই ট্যাবলেটটা খেতে হয় সকালে একটা রাতে একটা। রেনিট বোধহয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। হ্যাঁ। সকালে এবং রাতে একটা

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)

সেই প্রিয় মুখ

ইমদাদুল হক মিলন (… পূর্বে প্রকাশের পর) মনজু একটু উদাস হলো। জানালা দিয়ে বাইরে আকাশের দিকে তাকালো। মানসিক বিপর্যয়টা হয়েছিল রেশমির হাজব্যান্ডকে নিয়ে। রুবা অবাক হলো। রেশমি কে? আমার বোন। বোন? হ্যাঁ। কিন্তু আপনি না বলেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের ফ্যামিলির সবাই… মনজু রুবার দিকে তাকালো। সেটা ঠিকই আছে। রেশমি আমার আপন

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)

সেই প্রিয় মুখ

ইমদাদুল হক মিলন (… পূর্বে প্রকাশের পর) কিশোরী মেয়েটিকে এখানে এভাবে লুকিয়ে থাকতে দেখে সে অবাক। তুমি কে? কোন গ্রামের মেয়ে? রুবা তখন শুধু একটা কথাই বলছে। আমি, আমি…আমাকে মেরো না…আমি … মনজু তাকে সাহস দেয়ার চেষ্টা করল। ভয় পেয়ো না। আমি মিলিটারি না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তুমি এখানে এলে

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)

সেই প্রিয় মুখ

ইমদাদুল হক মিলন (… পূর্বে প্রকাশের পর) একসময় দেখে বহু পেছনে পড়ে গেছে তাদের গ্রাম। বহুদূরে দেখা যায় আগুনের লেলিহান শিখা। মানুষের চিৎকার-চেঁচামেচি আর আর্তনাথ শোনা যায় না। শোনা যায় শুধু গুলির শব্দ। সেই শব্দও বেশ ম্লান। তার পরই যেন নিজের মধ্যে ফিরে এসেছিল রুবা। এ সে কোথায় চলে এসেছে?

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)

সেই প্রিয় মুখ

ইমদাদুল হক মিলন (… পূর্বে প্রকাশের পর) রেজা অফিসে চলে যাওয়ার পর রোজই একবার বাড়ির পেছন দিককার বাগানে আসে রুবা। বাগানটা খুবই ছিমছাম, সুন্দর। সবুজ ঘাস একেবারে কার্পেটের মতো বিছানো। নানা রকম ফুল ফলের গাছ। লেুব করমচা আতা। পেয়ারা গাছ আছে, সফেদা গাছ আছে। তিনটি বড় বড় আমগাছ আছে। একটা

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)

সেই প্রিয় মুখ

ইমদাদুল হক মিলন এখন আবার চা করছো কেন? বুয়াটি মধ্যবয়সী। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে অনেক বছর আগে। ফরিদপুরের ভাঙা এলাকার লোক। একটা ছেলে আছে। ছেলেকে পুরনো ঢাকার নামকরা এতিমখানায় দিয়েছে। ছেলের নাম রাজু। স্বামী পরিত্যক্ত বুয়াটি এখন ছেলের নামেই পরিচিত। রাজুর মা। রুবার কথা শুনে কিচেনের দরজার দিকে তাকালো

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)

আমরা তো এমন পুলিশই চেয়েছি

ইমদাদুল হক মিলন তাগড়া জোয়ান লোকটা খুবই আয়েশি ভঙ্গিতে সিগ্রেট টানতে টানতে হাঁটছে। পরনে ময়লা প্যান্ট আর টি-শার্ট। সঙ্গের বাচ্চা ছেলেটির বয়স দশ-এগারো। তার মাথায় বেশ ভারী একটা বোঝা। বোঝার ভারে সে বাঁকা হয়ে গেছে। রাত সাড়ে আটটা বাজে। তাগড়া জোয়ান লোকটি শিশুটিকে তাড়া দিচ্ছে, এই তাড়াতাড়ি হাঁট। আমি ওষুধের

ভালো লাগলে শেয়ার করে দিন :)